প্রতিনিধি 19 October 2025 , 11:52:22 প্রিন্ট সংস্করণ

মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার আল-জাওয়াইদা শহরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের অন্তত ছয় সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ব্রিগেডের জাবালিয়া ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ইয়াহিয়া আল-মাবহুহ রয়েছেন।
নৃশংস এই আক্রমণের পরপরই গাজা উপত্যকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি বাতিল করেছে ইসরায়েল।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) এই হামলা ও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাসেম ব্রিগেডের জাবালিয়া ব্যাটালিয়নের একটি ইউনিটকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এতে উক্ত ইউনিটের কমান্ডারসহ ছয় যোদ্ধা নিহত হন। স্থানীয় একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উপকূলীয় তাঁবুতে হামলা

হামলাটি গাজার আল-জাওয়াইদা শহরের উপকূলীয় এলাকায় একটি সমুদ্রতীরবর্তী ক্যাফের তাঁবুতে চালানো হয়। শহরটি দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনুসের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ছয় যোদ্ধা উত্তর গাজার বাসিন্দা হলেও তারা হামলার সময় গাজার মধ্যাঞ্চলে অভিযানে অংশ নিচ্ছিলেন।
আল-কাসেম ব্রিগেডের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার আল-মাবহুহের মৃত্যু, যুদ্ধবিরতির সময় হামাসের জন্য অন্যতম বড় ক্ষতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ত্রাণ সরবরাহ স্থগিত
এই হামলার পরই ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ সরবরাহ স্থগিতের নির্দেশ দেয়।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী, হামাসের চুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছে, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ইসরায়েলই চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করছিল। কিন্তু নতুন নির্দেশে এই প্রবেশ আপাতত বাতিল করা হলো।