প্রতিনিধি 12 October 2025 , 4:53:39 প্রিন্ট সংস্করণ

ফুসফুসের সুস্থতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অভ্যাস শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা পাতলা রাখতে সাহায্য করে, যা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়া সহজ করে তোলে। এ ছাড়াও ভেষজ চা, মধু দিয়ে গরম পানি এবং গ্রিন টি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টি ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে। ফুসফুসে রোগের ঝুঁকি কমাতে আরও যা করতে হবে-
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ: ভিটামিন সি এবং ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল এবং শাক-সবজি দূষণের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে আপনার ফুসফুসকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে কমলা, বেরি, পালং শাক এবং বাদাম চমৎকার উৎস। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ বৃদ্ধি করলে সেটি ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই স্বাস্থ্যকর চর্বিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি প্রদাহ কমিয়ে ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদরা স্যামন, ম্যাকেরেল, তিসি এবং আখরোটের মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরকে পরিষ্কার করতে এবং টক্সিন অপসারণে সাহায্য করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের কার্যকারিতা বজায় রাখে।
প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে মসলা: কাঁচা হলুদ, মৌরি এবং আদার মতো মসলা শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এগুলো শ্বাসনালীতে দূষণকারী পদার্থের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। আদা শ্লেষ্মা ভেঙে দেয়, যা আমাদের শ্বাস নেয়া সহজ করে। জেনে রাখবেন এ মসলাগুলো ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করাসহ প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।