প্রতিনিধি 4 October 2025 , 6:51:08 প্রিন্ট সংস্করণ

বাড়ির আশপাশ অথবা শহরের রাস্তায় কুকুরের উৎপাত দেখা যায়। এ অবস্থায় হঠাৎ আক্রমণের শিকার হতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না প্রথমেই কি করবেন, সে বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ দেরি করলে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, কুকুরে কামড়ানোর পরপরই সঠিক পদক্ষেপ না নিলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে, এমনকি র্যাবিসের মতো প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
প্রথমে আক্রান্ত স্থানে রক্তপাত হলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি কামড়ে প্রচুর রক্তপাত হয়, তাহলে পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে আলতো চাপ দিন। তবে খুব বেশি জোরে চাপ দেবেন না, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া ভেতরে প্রবেশ করতে পারে। এ সময় ক্ষতস্থান ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। অন্তত ৫-১০ মিনিট ধরে পরিষ্কার পানি ঢালুন এবং হালকা সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চিকিৎসকদের মতে, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এতে কুকুরের মুখের লালা, মাটি ও ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এরপর অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করুন। যেমন-পেভিসোন-আইডিন, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বা অ্যালকোহলভিত্তিক জীবাণুনাশক লাগান। এটি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা দ্রুত কমিয়ে দেয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে। স্টেরাইল গজ বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে আলতো করে ক্ষত ঢেকে দিন। এতে বাইরের সংস্পর্শ থেকে ক্ষত সুরক্ষিত থাকবে। তবে গভীর ক্ষতের ক্ষেত্রে ব্যান্ডেজ খুব টাইট করে বাঁধবেন না, যতক্ষণ না চিকিৎসা পাচ্ছেন।
যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ক্ষত ছোট মনে হলেও দেরি না করে পাশ্ববর্তী চিকিৎসকের কাছে যান। কারণ কুকুরের কামড়ে র্যাবিস, টিটেনাস এবং বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। ওই চিকিৎসক প্রয়োজনে র্যাবিসের ভ্যাকসিন (PEP), টিটেনাস শট বা অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করবেন। তাই, প্রাথমিক সচেতনতা ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলে কুকুরের কামড়ের পর গুরুতর জটিলতা অনেকাংশে কমে যায়। এ সময় আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিন।