প্রতিনিধি 23 October 2025 , 8:30:54 প্রিন্ট সংস্করণ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬০ রানের বড় জয়টা ছিল ২০১২ সালে খুলনায়। আর বৃহস্পতিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ১৭৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এর আগে ২০২৩ সালে সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল টাইগাররা। মিরপুরে সেই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ ছিল মিরাজদের। তবে ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন ৯৭ রানে নবম উইকেট খোয়াল, পিছিয়ে ছিল ১৯৯ রানে। বাংলাদেশকে রেকর্ড করতে দেননি আকিল হোসেন। খারি পিয়েরকে নিয়ে ১০ম উইকেটে ২০ রান যোগ করেছেন। জুটিতে পিয়েেরের অবদান শূন্য রান। ১৫ বলে ২৭ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হয়েছেন আকিল।
এদিকে, ২৯৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে কখনোই স্বস্তিতে ছিল না ক্যারিবীয়রা। বাংলাদেশের স্পিনাররা উইকেট পেয়েছেন নিয়মিতই। ৩০ দশমিক ১ ওভারে ১১৭ রানে অলআউট হয়েছে দলটি। সবগুলো উইকেটই পেয়েছেন স্পিনাররা।
বোলার নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন ৩টি করে, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানভীর ইসলাম ২টি করে উইকেট পেয়েছেন। যদিও বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান দলে থাকলেও তিনি বল করেননি।
প্রথম ওভারে রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং ব্যাট করছেন অ্যালিক অ্যাথানেজ ও ব্র্যান্ডন কিং। প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন বাংলাদেশের নাসুম আহমেদ। তার প্রথম ৪ বলে রান নিতে পারেননি অ্যাথানেজ। পঞ্চম বলে নিয়েছেন সিঙ্গেল। শেষ বলে ডট দিয়েছেন কিং।
৩য় ওভারে আম্পায়ার মাসুদুর রহমানের ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। বল ব্র্যান্ডন কিংয়ের ব্যাটের কিনারায় লাগলেও বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেন মাসুদুর। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে নিয়ে বেঁচে গেলেন কিং।
পঞ্চম ওভারে অ্যালিক আথানেজকে এলবিডব্লু করা নাসুম আহমেদ, সপ্তম ওভারে এলবিডব্লু করেছেন আকিম অগাস্টকে। রিভিউ নিয়ে উইকেটটি নিলেন বাঁহাতি নাসুম। ২৮ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

৯ ওভারে টানা তৃতীয় ওভারে উইকেট পেলেন নাসুম আহমেদ। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্রেন্ডন কিংকে বোল্ড করে দলকে তৃতীয় উইকেট এনে দিলেন নাসুম। ৩৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডেতে চতুর্থবার ৩ উইকেট পেলেন নাসুম।
১১ ওভারে তৃতীয় ওয়ানডে চলার সময়ই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। দলে ফিরেছেন এশিয়া কাপে চোটে পড়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়া অধিনায়ক লিটন দাস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
১৬ ওভারে উইকেটশিকারে নাসুম আহমেদের সঙ্গী হলেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপকে ফিরিয়েছেন তানভীর। ৪৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্লগ সুইপ করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে নাজমুল হোসেনকে ক্যাচ দিয়েছেন ১৬ বলে ৪ রান করা হোপ।
১৯ ওভারে সিরিজে ১১ উইকেট পেয়ে গেলেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের লেগ স্পিনার ১৯তম ওভারের প্রথম বলে আউট করেছেন শেরফান রাদারফোর্ডকে। মিডউইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন রাদারফোর্ড।
২২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কিসি কার্টিতে কাভারে নাজমুল হোসেনে ক্যাচ বানিয়ে বাংলাদেশকে সপ্তম উইকেট এনে দিলেন তানভীর ইসলাম। তানভীরের এটি দ্বিতীয় উইকেট। ৬৭ রানে ৭ উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২৮ ওভারে সিরিজে ১২তম উইকেট পেয়ে গেলেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশও সিরিজ জয়ের আরেকটু কাছে চলে গেল। ৮২ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গুড়াকেশ মোতিকে এলবিডব্লু করে তৃতীয় উইকেট পেলেন রিশাদ।
২৯ ওভারে জাস্টিন গ্রিভসকে উইকেটকিপার নুরুল হাসানের ক্যাচ বানিয়ে বাংলাদেশকে নবম উইকেট এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৯৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারের আরেকটু কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), মাহিদুল ইসলাম, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তানভির ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্রেন্ডন কিং, অ্যালিক অ্যাথানেজ, কিসি কার্টি, শাই হোপ (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), শেরফান রাদারফোর্ড, আকিম অগাস্ট, রোস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রিভস, গুড়াকেশ মোতি, খারি পিয়েরে ও আকিল হোসেন।