প্রতিনিধি 21 October 2025 , 5:51:28 প্রিন্ট সংস্করণ

শুষ্ক কাশি খুব অস্বস্তিকর। এই সমস্যা রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। শুষ্ক কাশি হলে গলা জ্বালা করে, কিন্তু শ্লেষ্মা বা কফ তৈরি হয় না। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সর্দি বা ফ্লুর মতো সংক্রমণের পরে স্থায়ী হয়। কাশির ওষুধ এ ক্ষেত্রে সাময়িক উপশম করে তবে প্রাকৃতিকভাবে প্রতিকার বেছে নেয়া বেশি উপকারী।
কারণ এ পদ্ধতি গলা প্রশমিত এবং কাশি থামাতে কাজ করে। এর মধ্যে মধু, হলুদ, আদা এবং পুদিনা পাতার মতো সহজ উপাদান প্রদাহ কমাতে এবং দ্রুত সুস্থতায় সাহায্য করে। জেনে নেয়া যাক কিভাবে এগুলো সেবন করবেন-
মধু: শুষ্ক কাশি প্রশমিত করার জন্য মধু সবচেয়ে কার্যকরী প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলোর মধ্যে একটি। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য গলায় আবরণ তৈরি করে, জ্বালা কমায় এবং কাশি দমনে সাহায্য করে। দিনে কয়েকবার এক চা চামচ মধু খেতে পারেন অথবা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে সাথে লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন।

হলুদ: হলুদে কারকিউমিন থাকে, যা প্রদাহ-বিরোধী, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপকারিতা সম্পন্ন একটি শক্তিশালী যৌগ। কাশি ছাড়াও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় এর থেরাপিউটিক প্রভাবে অবদান রাখে। সর্বাধিক সুবিধা পেতে হলুদের সাথে এক চিমটি গোল মরিচের গুড়া মিশিয়ে গরম পানি পান করতে পারেন। আর রং চায়ের সাথে এক চা চামচ হলুদের রস এবং অল্প পরিমাণে গোল মরিচ যোগ করুন। এটি নিয়মিত খেলে গলার জ্বালা এবং শুষ্ক কাশির সাথে সম্পর্কিত প্রদাহ কমাবে।
আদা ও পুদিনা: আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী, জীবাণুনাশক এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি গলার জ্বালা প্রশমিত করতে সাহায্য করে এবং কাশির আক্রমণ থেকে মুক্তি দেয়। আদা চা বিশেষভাবে কার্যকরী। কাশি দ্রুত উপশমের জন্য কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। অপরদিকে, পুদিনা হচ্ছে মেন্থল সমৃদ্ধ, যা প্রাকৃতিক ডিকনজেস্ট্যান্ট এবং কাশি দমনকারী হিসেবে কাজ করে। এটি গলার স্নায়ু প্রান্তকে অসাড় করতে সাহায্য করে।