প্রতিনিধি 8 October 2025 , 10:22:11 প্রিন্ট সংস্করণ

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ্বাসের পর চট্টগ্রামে অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। এতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কসহ আশপাশের অঞ্চলের সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
চট্টগ্রামের রাউজানে হেফাজত নেতা সোহেল চৌধুরীর মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় নয় বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে- এমন দাবি করে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল থেকে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। এতে উত্তর চট্টগ্রামের হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি এবং পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও মানিকছড়িতে যানজট ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
কর্মসূচি থেকে তারা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন তারা।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন বলেন, নিহতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে সমাধান করা হয়েছে। তাদের ২ লাখ টাকা ক্যাশ দেয়া হবে, বাস মালিক সমিতির থেকে। সরকার থেকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। উপজেলা প্রশাসন থেকে নিহতের পরিবারের পাশে থেকে সকল সহযোগিতা করা হবে। এই আশ্বাস দিয়ে সমাধান করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারিক আজিজ, হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মনজুরুল কাদির ভূঁইয়া, বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, নিহতের পরিবারের সদস্য ও অবরোধকারীদের প্রতিনিধি।
নিহত মাওলানা সোহেল চৌধুরীর বাড়ি সন্দ্বীপ উপজেলায় হলেও তিনি রাউজান পৌরসভার মেডিকেল গেট এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলের দিকে রাউজান উপজেলার নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল চালিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন মাওলানা সোহেল চৌধুরী। এ সময় পেছন থেকে একটি দ্রুতগামী বাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।