প্রতিনিধি 4 October 2025 , 6:37:13 প্রিন্ট সংস্করণ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের বাকি আছে মাত্র একদিন। কিন্তু নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন।
তামিম ইকবালসহ হেভিওয়েট ১৭ জন প্রার্থী এখন পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এরই মাঝে আজ (শনিবার) তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা ক্রীড়া সংগঠকরা। না মানলে তারা বিসিবির পরবর্তী ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মোহামেডানের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের নামে প্রহসন কে ঘিরে যত আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে যা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বাংলাদেশ ও পৃথিবীর কাছে বিতর্কিত করছে। দেশের সচেতন নাগরিক ও ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে চলমান বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অনুরোধ করবো একই সাথে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা ক্রিকেটের স্বার্থে করতে হলে আমরা আমাদের পরিকল্পনা ও পরামর্শ দিয়ে সাথে থাকবো।”


“৬ই অক্টোবর নির্বাচনের আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়া বিতর্কিত হয়েছে সেক্ষেত্রে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসকে কলঙ্কিত না করার জন্য আমাদের অনুরোধ। আমরা তিনটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলমান বিতর্কিত অবশ্বকে সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে সমৃদ্ধ করতে পারি।”
চলমান সমস্যা সমাধানে তিন দফা দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হচ্ছে:
১. বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পরিষদের সময় বৃদ্ধি করে একটি সুন্দর নির্বাচন গ্রহণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
২. একটি এডহক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
৩. বর্তমান তফসিল বাতিল ঘোষণা করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন অথবা নতুন নির্বাচন কমিশন অনতিবিলম্বে নতুন তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চলমান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণের সুনিশ্চিত প্রক্রিয়া নিশ্চিতের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারেন।
দাবি তোলার ব্যাখ্যাতে তারা বলেন অভিযোগ করেন:
জেলা-বিভাগ থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলরদের তালিকায় সরাসরি সরকারি হস্তক্ষেপ, দেশের শীর্ষ ক্লাব আবাহনী-মোহানেডানসহ ক্লাব ক্যাটাগরির মনোনয়ন পত্র জমাদানকারীদের বড় অংশের ইলেকশন বর্জন, বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই বিসিবি সভাপতির কর্তৃক কাউন্সিলদের যোগ্যতার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি প্রেরণ, নির্ধারিত সময়ের পরও সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের কাউন্সিলরশিপ গ্রহণ যা নির্বাচনী নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, ক্লাবকে কাউন্সিলরশিপ না দেওয়া এবং জেলা-বিভাগীয় কাউন্সিলরদের ‘আটকে রাখা’।
৫ অক্টোবরের মধ্যে উত্থাপিত দাবি পূরণ না হলে সকল ক্লাব ও সংগঠকদের পক্ষে বৃহত্তর অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করার হুশিয়ারিও দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেটেও অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।