গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশ ও মানুষকে রক্ষা করতে হবে: তারেক রহমান

বিজ্ঞাপন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হবে আমাদের। তাই দেশ গঠনে এখন ঐক্যের বিকল্প কিছু নেই। ঐক্যবদ্ধ না হলে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে, প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলনের পর দেশ থেকে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। স্বৈরাচারের পতনের পর দেশকে পুনর্গঠন করতে হলে, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশকে পরিচালিত করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একটি ঘর তৈরি করতে হলে সবাইকে মিলে কাজ করতে হয়। তখন অনেক মানুষের প্রয়োজন হয়। এই দেশটি হলো আমাদের ঘর। এই ঘরটিতে ডাকাত পড়েছিল দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে। সেই ডাকাতকে বাংলাদেশের জনগণ বিতাড়িত করেছে’।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এখন এই বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে, কারণ এই দেশ আমার, আপনার, আমাদের সবার। এ দেশকে গঠন করতে হবে। দেশ গঠন করতে হলে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেশের যে শক্তি অর্থাৎ জনগণের কাছে আমাদেরকে যেতে হবে। এরকম মিটিং করে করে জনগণের কাছে গেলে চলবে না। আপনাদের ছোট ছোট টিম করে করে জনগণের দুয়ারে যেতে হবে’।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে যে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, আমাদেরকে সমর্থন করলে আমরা পুরো দেশকে গঠন করব। কিভাবে জনগণের সন্তানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো, কিভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলবো, কিভাবে দেশের নারীদের ক্ষমতায়ন করব, কিভাবে কৃষকদের পাশে এসে বিএনপি দাঁড়াবে, কিভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলবো-এই কথাগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দেখেছি দেশ স্বাধীনের পরে এক স্বৈরাচার চেপে বসেছিল দেশের মানুষের কাঁধে। পরবর্তীতে সেই স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করা হয়েছিল এক দলীয় শাসনকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীতে আবারও স্বৈরাচার এসেছিল, সেই স্বৈরাচার কেউ দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছে। বিগত ১৫ বছর আরেক স্বৈরাচার বসেছিল। সেই স্বৈরাচারকে বিতারিত করেছে দেশের জনগণ।

আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করেছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। আমাদের নেতাকর্মীরা হত্যা খুন, গুমের শিকার হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হয়েছে। হাতকড়া পরা অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। জেলের ভেতর আমাদের নেতা-কর্মীরা মারা গিয়েছে। হাজারো নেতাকর্মীকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে। আজ সেই স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। স্বৈরাচার দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। এখন হচ্ছে সামনে দেশ গঠন’।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক যাকারিয়া তাহের সুমন এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াসিন। বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম। ‍

এ ছাড়াও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু এবং সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।