প্রতিনিধি 24 September 2025 , 2:13:57 প্রিন্ট সংস্করণ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে জাতিসংঘকে কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “জাতিসংঘের উদ্দেশ্যই বা কী? তারা যা করতে পারে তা হলো খুব জোরালো ভাষায় একটি চিঠি লেখা। এগুলো ফাঁকা বুলি, আর ফাঁকা বুলি দিয়ে যুদ্ধ থামে না।”
হোয়াইট হাউসে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর এটি ছিল জাতিসংঘে ট্রাম্পের প্রথম ভাষণ। স্বাগতিক দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তিনি দীর্ঘ বক্তব্য দেন। বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশিত হয়।
ট্রাম্প দাবি করেন, বিশ্বব্যাপী সাতটি সংঘাতে তিনি যুদ্ধবিরতি আনতে সক্ষম হয়েছেন, যা তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য করে তোলে। তার ভাষায়, এ সাফল্য জাতিসংঘের অকার্যকারিতা স্পষ্ট করে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “দুঃখজনকভাবে এসব কাজ আমাকে করতে হলো। অথচ জাতিসংঘ কোনো ক্ষেত্রেই সহায়তার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি।”
ভাষণে ট্রাম্প জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিজের কিছু অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “জাতিসংঘ থেকে আমি শুধু দুটো জিনিসই পেয়েছি—একটি খারাপ এসকেলেটর আর আরেকটি নষ্ট টেলিপ্রম্পটার।”
এছাড়া, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘটনায় মার্কিন মিত্র দেশগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, হামাসের ভয়াবহ নৃশংসতার জন্য এটিই যেন পুরস্কার দেওয়া হলো। একইসঙ্গে ইউরোপীয় দেশ, চীন ও ভারতের প্রতিও অসন্তোষ প্রকাশ করেন ট্রাম্প, কারণ তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি। তবে মস্কোর ব্যাপারে তুলনামূলক সংযত ছিলেন তিনি।
সবচেয়ে কড়া ভাষায় ট্রাম্প আক্রমণ করেন অভিবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে। তার বক্তব্যে, “জাতিসংঘ অভিবাসনের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর এক ধরনের আক্রমণ বাড়াচ্ছে। আর জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ হলো বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতারণা।”