প্রতিনিধি 15 September 2025 , 1:07:55 প্রিন্ট সংস্করণ

রংপুরের তারাগঞ্জে এক মর্মান্তিক ঘটনায় মায়ের হাতে খুন হয়েছে ৫ মাস বয়সী এক কন্যাশিশু। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের বাবুলাল ও তুলসি রানী দম্পতির দ্বিতীয় কন্যা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটি ভোরে কান্নাকাটি করলে দাদি পাতানী রানী তাকে মা তুলসি রানীর হাতে দেন দুধ খাওয়ানোর জন্য। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে ঘরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তুলসি রানী। পরে রক্তাক্ত দেহ স্বামী বাবু লালের হাতে তুলে দেন তিনি। এসময় চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘাতক মাকে আটক করে রাখেন।
শিশুটির বাবা বাবুলাল বলেন, “কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। মাসখানেক ধরে বউ অসুস্থ থাকায় বাচ্চাটা মায়ের কাছে ছিল। আজ দুধ খাওয়ার জন্য কান্না করছিল, তাই ওর মায়ের কাছে দেয়। কিন্তু এভাবে মেয়ের কান্না থামবে ভাবিনি।

শিশুটির দাদি পাতানী রানী বলেন, নাতনী আমার কাছেই ছিল কয়েকদিন ধরে। সকালে কান্না করছিল, তাই বউকে দেই দুধ খাওয়াতে। কিছুক্ষণ পর দেখি ছেলে হাতে করে গলাকাটা বাচ্চা নিয়ে কাঁদছে।
এদিকে ঘটনার পর আটক তুলসি রানী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। স্বজন ও স্থানীয়দের মতে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
তুলসি রানীর ভাই মানিক মিয়া বলেন, আমার বোন সন্তানদের খুব ভালোবাসে। কিন্তু অসুস্থ থাকলে মানুষ স্বাভাবিক থাকে না। সুস্থ থাকলে কোনোদিন এ কাজ করত না।
কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সবিত্রী সেন জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। শুনেছি নিহত শিশুর মা মানসিক রোগে ভুগছিলেন।
তারাগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক বলেন, ওই নারীকে আটক করা হয়েছে। তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। স্বজনেরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।