প্রতিনিধি 10 September 2025 , 6:40:22 প্রিন্ট সংস্করণ
চাঁদপুর জেলা শহরে অটোরিকশা, অটোবাইকসহ অন্যান্য যানবাহন চালকরা বিক্ষোভ করেছে। যান চলাচলে জেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনসহ অংশীজনদের নিয়ে ৮টি নিয়ম বেধে দেয়। কিন্তু তারা নতুন নিয়ম প্রত্যাখ্যান করে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের প্রবেশমুখে যানবাহন বন্ধ করে বিক্ষোভ করে। ফলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এ ঘটনা শুনে একযোগে শহরের পুরান বাজার নতুন বাজার ব্রিজের পালবাজার অংশে এবং চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়কের পূর্ব মাথায় চালকরা বিক্ষোভ শুরু করে। যার ফলে শহরে কোন যানবাহন প্রবেশ এবং বের হতে পারেনি। সেখানে আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারি বাস, ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে দুর্ভোগের শিকার হন বহু যাত্রী। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন বাহনের যাত্রীরা পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা হয়।
শহরের পালবাজার ব্রিজের নীচের সড়ক থেকে পুরান বাজার পর্যন্ত বিশাল যানজট ছিল। কারণ নীচের সড়কে বহু চালক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। তাদের বক্তব্য প্রশাসনের দেয়া নিয়ম তারা মেনে চলতে পারবে না। এ সময় ‘ডিসি, ঘুষখোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। সেখানে চালকদের এই বিক্ষোভের সাথে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন এবং চালকদের পক্ষে বক্তব্য দেন।
দীর্ঘ সময় বিক্ষোভের পর ঘটনাস্থলে আসেন পৌর প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া ও পৌরসভার কর্মচারীরা। তারা চালকদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যার কথা শুনেন। পৌর প্রশাসক বলেন, ডিসি’সহ সকলের সাথে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন আপনারা যদি না মানেন তাহলে কিছু করার নেই। আপনারা আগে যেভাবে ছিলেন সেভাবে গাড়ি চালান। এরপর চালকদের আটকে রাখা সব যানবাহন ছেড়ে সড়ক স্বাভাবিক করে দেয়।
অপরদিকে চালকদের বক্তব্য হচ্ছে, ‘প্রশাসন এমন একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদের সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন ছিলো। শ্রমিক ও মালিক নেতারা গাড়ি চালায় না। সড়কে থাকতে হয় আমাদের। দিন শেষে মালিক আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার জন্য বসে থাকে। আমাদের সমস্যাগুলো আমাদেরই মোকাবেলা করতে হয়’।
উল্লেখ্য, শহরে যানবাহন চলাচলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮ নিদের্শনা বাস্তবায়নের নির্ধারিত দিন ছিলো ১০ সেপ্টেম্বর। এর আগে ৩১ আগস্ট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় যানবাহন চলাচলের নিয়মের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। প্রথম দিনেই বুধবার এই কার্যক্রম অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং আন্দোলনের মুখে আগের নিয়মে ফিরে যায় চালকরা।