আন্তর্জাতিক

জাতির উদ্দেশে ভাষণে কড়া সতর্কবার্তা দিলেন নেপালের সেনাপ্রধান

  প্রতিনিধি 10 September 2025 , 2:20:28 প্রিন্ট সংস্করণ

বিজ্ঞাপন
Main Banner Ads For Captains TV

নেপালে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ফলে কেপি শর্মা ওলি সরকার পতনের পর নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত শান্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েছে নেপাল সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার রাতে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল ভাঙচুর, লুটপাট বা ব্যক্তিদের উপর হামলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বিক্ষুব্ধ জাতিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা প্রতিবাদকারী গোষ্ঠীর প্রতি প্রতিবাদ কর্মসূচি বন্ধ করে জাতির কল্যানে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সংলাপে এগিয়ে আসার আবেদন করছি। আমাদের বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে এবং আমাদের ঐতিহাসিক ও জাতীয় ঐতিহ্য এবং জনসাধারণের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষা করতে হবে এবং সাধারণ জনগণ এবং কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় ৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া সহিংসতার সময় প্রাণহানির ঘটনায় তিনি শোক প্রকাশ করেছেন। নেপালের ইতিহাসের শুরু থেকেই, নেপাল সেনাবাহিনী সবসময় এমনকি কঠিন পরিস্থিতিতেও – নেপালের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, স্বাধীনতা, জাতীয় ঐক্য এবং নেপালি জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানায়, কিছু গোষ্ঠী কঠিন পরিস্থিতির অযৌক্তিক সুযোগ নিচ্ছে এবং সাধারণ নাগরিক এবং জনসাধারণের সম্পত্তির মারাত্মক ক্ষতি করছে।

টানা সহিংস বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।

কোনো কোনো এলাকায় কারফিউ এখনও চলছে এবং অ্যাম্বুলেন্স এবং শববাহনের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবার যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

প্রতিবাদের নামে যেকোনো বিক্ষোভ, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যক্তি ও সম্পত্তির উপর আক্রমণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং নিরাপত্তা কর্মীরা কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলেও বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

ইতিমধ্যে, সেনাবাহিনী কাঠমান্ডু বিমানবন্দর এবং সরকারের প্রধান সচিবালয় ভবন, সিংহদরবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে।

এর আগে নেপালে দুর্নীতি ও সামাজিক মাধ্যমের ওপর সরকারি বিধিনিষেধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন তরুণরা। কয়েকদিনের বিক্ষোভে নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে সহিংসতা চরম আকার ধারণ করে এবং ১৯ জনের মৃত্যু হয়। এরপর অসংখ্য শীর্ষ নেতার বাসভবনে আগুন, হামলা, ভাঙচুর করাসহ একাধিক গণমাধ্যমের অফিস জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। আগুন দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের বাসভবনেও।

আরও খবর

Sponsered content

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সংবাদ
6:03 PM শাপলা প্রতীক পাচ্ছেনা এনসিপি 5:55 PM টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ 5:45 PM গতি কমল মেট্রোরেলের 5:28 PM থাইল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশ 5:20 PM প্রতি আসনে একাধিক প্রার্থী প্রস্তুত রাখছে বিএনপি 4:56 PM এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী নেবে জাপান 4:39 PM পুলিশ সদস্যদের নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী ভাবা যাবে না 4:23 PM খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলাকালীন ফিজিওর মৃত্যু 4:18 PM ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু ভর্তি ৯৮৩ 4:01 PM জামালপুরে কাভার্ডভ্যান-ইজিবাইক সংর্ঘষে নিহত ৩, আহত ৭