
প্রতিনিধি 16 November 2025 , 7:30:32 প্রিন্ট সংস্করণ

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুনকে গুলি করে হত্যার মামলায় ৪ আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুজ্জামান রিমান্ডের এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই আবু বকর রিমান্ডের তথ্য নিশ্চিত করেন। আসামিরা হলেন, মো. ফারুক হোসেন ফয়সাল, রবিন আহম্মেদ পিয়াস, মো. রুবেল ও শামীম আহম্মেদ।
মঙ্গলবার রাতে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়েরবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইউসুফকে। তাদের কাছ থেকে মামুন হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী জোনাল টিমের এসআই কৃষ্ণ কুমার দাস মোহাম্মদপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন।
বুধবার তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে, আদালত ৪ দিনের রিমান্ড দেয়। রিমান্ড শেষে ৫ আসামিকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর মো. সাজ্জাদ হোসেন। ইউসুফ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি তা রেকর্ড করা এবং অপর ৪ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা আসামি ইউসুফের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অপর ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম।
এরপর ফয়সাল, রবিন, রুবেল এবং ইউসুফকে মামুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন ডিবি পুলিশের কোতয়ালী জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন। আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে তথ্য দিলে আসামি ইউসুফ মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজারের রশিদ ম্যানশনের পেছনের একটি বাড়ি থেকে দুটি পিস্তল ও গুলি বের করে দেন। জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে ফারুক ও রবিন হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র শনাক্ত করেন।
তারা দুজন একাধিকবার গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। তারা ‘স্বীকার করেন’, ২ লাখ টাকা পেয়ে তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা এবং হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ।