
প্রতিনিধি 2 November 2025 , 5:57:53 প্রিন্ট সংস্করণ

ডিম একটি পুষ্টির পাওয়ার হাউস। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্যের প্রতি ইতিবাচক অবদানের জন্য স্বীকৃত। কেন প্রতিদিন খাবেন-ডিমের কুসুমে লুটেইন ও কেরোটিনয়েড থাকায় বয়স্কদের ক্ষেত্রে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা কমে। এ ছাড়াও ভিটামিন-এ চোখের জন্য উপকারী।
জেনে নিন ডিমের পুষ্টি উপাদান: একটি বড় আকারের ডিমে প্রায় ৭৮ ক্যালরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৫ গ্রাম চর্বি থাকে। ভিটামিন এ থাকে ৮ শতাংশ, ৬ শতাংশ ফোলেট, ১৫ শতাংশ বি-৫ বা প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, ২৩ শতাংশ বি-১২, ২০ শতাংশ বি-২। এ ছাড়া পাবেন ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি, ই, বি-৬, ক্যালসিয়াম ও জিংক। অপরদিকে, এখন তো ডিমে ওমেগা-৩ যুক্ত থাকে।

ডিমের ফোলেট, বি-৬, বি-১২ রক্তশূন্যতা হতে দেয় না। ভিটামিন ই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে ও বিভিন্ন ক্যানসার প্রতিরোধেও উপকারী। ডিমের ভিটামিন ডি হাড় ও পেশি মজবুত করে। আর ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন ও শরীরের জন্য অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশি তৈরি, ওজন ও রক্তাচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয়। প্রতিদিনের প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিম সবচেয়ে সহজলভ্য ও তুলনামূলক সস্তা।
অনেকের প্রশ্ন থাকে, ডিমে কোলেস্টেরল থাকে, তাই ডিম খাওয়া যাবে কি না? ডিমের কুসুমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যার মধ্যে বেশির ভাগ এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরল। প্রতিদিন আমাদের এর চেয়ে বেশি কোলেস্টেরল প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিন একটি বা দুটি ডিমের কুসুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।
অপরদিকে মজার বিষয় হচ্ছে, ডিমের খোসার রঙের ওপর পুষ্টিগুণ নির্ভর করে না। ডিমের খোসার রং নির্ভর করে মুরগির ওপর। যার নেপথ্যে রয়েছে মুরগির জিনগত বৈশিষ্ট। সাধারণত যে সমস্ত মুরগির সাদা বা হাল্কা রংয়ের পালক রয়েছে, তারা সাধারণত সাদা ডিম পাড়ে। অন্য দিকে গাঢ় রঙের পালক যুক্ত মুরগির ডিমের খোলস হয় লালচে।