প্রতিনিধি 18 October 2025 , 9:22:33 প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকার মিরপুরে অনুষ্ঠিত ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শনিবার আগে ব্যাট করে ৪৯ দশমিক ৪ ওভারে ২০৭ রান করে বাংলাদেশ। যা তাড়া করতে নেমে ৩৯ ওভারে ১৩৩ রান তুলেই গুটিয়ে গেছে ক্যারিবীরা। আর এর মাধ্যমে টিম টাইগার ৭৪ রানে জয় লাভ করে।
অবশেষে রিশাদের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে কাঙ্ক্ষিত জয় পায় বাংলাদেশ। একই সাথে ঘরের মাঠে ফুরালো জয়ের অপেক্ষা। মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় বাংলাদেশ। টানা ৪ ম্যাচে হেরে ‘বিধ্বস্ত’ মিরাজ-তাসকিনদের জন্য এ যেন মরুর বুকে এক পশলা বৃষ্টি।
উইন্ডিজের ৩ নম্বরে নামা কেসি কার্টি দেখে-শোনে খেলছিলেন, তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২০তম ওভারে রিশাদের বলে স্লিপে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ৯ রান।
নিজের পরের ওভারে ফিরে আরো দুই উইকেট নিয়েছেন রিশাদ। ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ব্যান্ডন কিংয়ের ব্যাট ছুঁয়ে যায়। উইকেটকিপার সোহান দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় বল গ্লাভসবন্দি করেন। কিং ৬০ বলে করেছেন ৪৪ রান। চতুর্থ বলে ফিরিয়েছেন শারেফান রাদারফোর্ডকে। সোহানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ডাক খেয়েছেন তিনি।
২৪তম ওভারে আবারো উইকেটের দেখা পান রিশাদ। এবার তার শিকার রোস্টন চেজ। ৬ রান করে চেজ ফিরলে ৯২ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। আর এই ৫ উইকেটের সবকটি গেছে রিশাদের ঝুলিতে। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। বাংলাদেশের প্রথম ডানহাতি স্পিনার হিসেবেও ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পেয়েছেন রিশাদ।

এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ ম্যাচ ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০৮ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০৭ রানে অলআউটের শিকার হয় টাইগাররা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় খেলাটি শুরু হয় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। এ দিন টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাহী হোপ।
টস হেরে বাংলাদেশের হয়ে এদিন ব্যাট হাতে ওপেন করতে আসে সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৮ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। অনেকদির পর জাতীয় দলে ফেরা সৌম্য সরকারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয় এদিন। ব্যাক্তিগত ৬ বলে ৪ রান করে করে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে এই বাঁহাতি ওপেনার।
পরপর উইকেট হারিয়ে দল যখন চাপে পড়েছে, তখন ব্যাট হাতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায় দুই টাগার ব্যাটার শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় শান্ত আউট হয়ে সাজঘরে ফেরলে আরও কমে রানের চাকা। শান্ত আউট হলে হৃদয় ও অঙ্কনের টেস্ট মেজাজের ব্যাটে ভর করে দলীয় ৩০ ওভারে দলীয় রান গিয়ে দাঁড়ায় ১০০ রান।
দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯০ বলে ৫১ রান করে দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরে তাওহীদ হৃদয়। হৃদয়ের পর একে একে ফেরে অঙ্কন, মিরাজ ও সোহান। স্কোরবোর্ডে ১৮২ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরে যায় বাংলাদেশের ৭ ব্যাটার। একসময় মনে হয়েছিল ২০০ রানও পার করতে পারবে না বাংলাদেশ। শেষদিকে রিশাদ ও তানভীরের ব্যাটে ভর করে ৪৯ দশমিক ৪ বলে ১০ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান সংগ্রহ করে মেহেদী মিরাজের দল।
বাংলাদেশ একাদশ: মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন, সাইফ হাসান, নুরুল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মাহিদুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম