আন্তর্জাতিক

প্রতিদিন পৃথিবীতে ভেঙে পড়ছে স্টারলিঙ্কের স্যাটেলাইট,বিস্ফোরণের শঙ্কা

  প্রতিনিধি 15 October 2025 , 4:02:43 প্রিন্ট সংস্করণ

স্টারলিংকের প্রতিটি স্যাটেলাইট সাধারণত ৫ থেকে ৭ বছর সক্রিয় থাকে
স্টারলিংকের প্রতিটি স্যাটেলাইট সাধারণত ৫ থেকে ৭ বছর সক্রিয় থাকে
বিজ্ঞাপন
Main Banner Ads For Captains TV

ইলন মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্টারলিংক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক পৃথিবীব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটালেও, এর দ্রুত সম্প্রসারণ এখন মহাকাশে নতুন সংকটের জন্ম দিচ্ছে। প্রতিদিন ক্রমবর্ধমান হারে পৃথিবীতে ফিরে আসছে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট। যা বিজ্ঞানীদের মধ্যে এক ধরনের “মহাকাশ আবর্জনার চেইন রিঅ্যাকশন” বা ধারাবাহিক সংঘর্ষের শঙ্কা তৈরি করেছে।

আজ ১৫ অক্টোবর বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, স্মিথসোনিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডাওয়েলের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিদিন এক থেকে দুইটি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ করছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, আসন্ন বছরগুলোতে এই সংখ্যা দৈনিক পাঁচটিতে পৌঁছাতে পারে, কারণ স্পেসএক্স ছাড়াও অ্যামাজনের প্রজেক্ট কুইপার ও চীনের নতুন স্যাটেলাইট কনস্টেলেশনগুলো কক্ষপথে যুক্ত হবে।

ম্যাকডাওয়েল বলেন, এখনই আমাদের মাথার ওপরে প্রায় ৮ হাজার স্টারলিংক স্যাটেলাইট ঘুরছে। সব কনস্টেলেশন সম্পূর্ণ হলে নিম্ন কক্ষপথে প্রায় ৩০ হাজার স্যাটেলাইট থাকবে—এর সঙ্গে চীনা সিস্টেমের আরও ২০ হাজার যুক্ত হতে পারে। তখন দিনে পাঁচটি স্যাটেলাইট পতনের ঘটনাও অস্বাভাবিক হবে না।

স্টারলিংকের প্রতিটি স্যাটেলাইট সাধারণত ৫ থেকে ৭ বছর সক্রিয় থাকে। পুরোনো বা বিকল স্যাটেলাইটগুলোকে ধীরে ধীরে কক্ষপথ থেকে নামিয়ে আনা হয় বা তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পতিত হয়।

বিজ্ঞাপন

‘কেসলার সিনড্রোম’-এর আশঙ্কা
বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত স্যাটেলাইট, রকেটের টুকরা এবং অন্যান্য মহাকাশ আবর্জনার সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকলে পৃথিবী ‘কেসলার সিনড্রোম’-এর ঝুঁকিতে পড়তে পারে—যেখানে এক সংঘর্ষ থেকে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ আরও সংঘর্ষ ঘটিয়ে মহাকাশে এক অন্তহীন ধ্বংসচক্র সৃষ্টি করে।
এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ভবিষ্যতে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং মহাকাশ গবেষণা উভয়ই মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

সূর্যের তৎপরতায় আরও বাড়ছে ঝুঁকি

ম্যাকডাওয়েল জানান, বর্তমানে সূর্যের সর্বাধিক সক্রিয় সময়—‘সোলার ম্যাক্সিমাম’—চলছে, যা স্যাটেলাইট পতনের হার আরও বাড়িয়ে তুলছে। সূর্যের ফ্লেয়ার ও করোনাল ম্যাস ইজেকশন পৃথিবীর উচ্চ বায়ুমণ্ডলকে উত্তপ্ত ও প্রসারিত করে, ফলে স্যাটেলাইটগুলোর ওপর বায়ু প্রতিরোধ বেড়ে যায় এবং তারা ধীরে ধীরে নিচে নেমে আসে।

“কিছু স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে ফিরিয়ে তোলা যায়,” বলেন ম্যাকডাওয়েল, “কিন্তু অনেকগুলো আর বাঁচানো যায় না—তাদের পতন অনিবার্য।”

ভিড়াক্রান্ত মহাকাশ, বড় চ্যালেঞ্জ সামনে
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টারলিংক বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট সংযোগে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনলেও, এর বিস্তার নিম্ন-কক্ষপথকে ভিড়াক্রান্ত করে তুলছে। আগামী কয়েক বছরে আরও লাখো স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা থাকায়, মহাকাশ ট্রাফিক ও আবর্জনা ব্যবস্থাপনা আগামী দশকের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিগত ও নীতিনির্ধারণী চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

আরও খবর

Sponsered content

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সংবাদ
4:18 PM ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু ভর্তি ৯৮৩ 4:01 PM জামালপুরে কাভার্ডভ্যান-ইজিবাইক সংর্ঘষে নিহত ৩, আহত ৭ 3:04 PM জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরির নতুন ভিডিও ভাইরাল 2:52 PM যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত ভারতের ৫০ তরুণ 2:37 PM মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের বিয়ারিং প্যাডের মান নির্ণয়ে হাইকোর্টে রিট 2:15 PM ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১ 1:56 PM ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করবে 1:42 PM বিসিবির চাকরি ছাড়লেন ফিটনেস ট্রেনার নাথান কেলি 1:13 PM সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১ হাজার ৫১৫ 12:56 PM ডাকসু নেতাদের আচরণ নিয়ে ছাত্রদলের নাছিরের স্ট্যাটাস