প্রতিনিধি 9 October 2025 , 9:28:04 প্রিন্ট সংস্করণ

গণভোটের সময়ের বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেয়ার চিন্তা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যদিও এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকায় জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট কি সংসদ নির্বাচনের দিনে হবে, নাকি এর আগে হবে, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু নিজেদের সুপারিশে রাখতে চাইছে না জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত সোয়া ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দলগুলোর বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানা গেছে। অপরদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার পর কমিশন বৃহস্পতিবার নিজেরা বৈঠক করে জানিয়েছে, আগামী ১৫ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর হবে। তার আগে আগামী রোববার নাগাদ সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ দেয়া হবে।

কমিশন সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোকেও এই সুপারিশ দেয়া হবে। তবে বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে এখন পর্যন্ত সুপারিশ চূড়ান্ত হয়নি। সময় ও পথ পদ্ধতি নিয়ে মতভিন্নতা থাকলেও গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক মতৈক্য হওয়ার বাস্তবায়নের পদ্ধতি হিসেবে এটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে কমিশন।
এ ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, অধ্যাপক ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল যে মতামত দিয়েছে, সেটাকে ভিত্তি ধরছে কমিশন। এখানে কিছু বিষয় প্রয়োজনে আরও সুনির্দিষ্ট ও বিস্তারিত আকারে দেয়া হবে। গণভোট নিয়ে ঐকমত্য থাকলেও তার ভিত্তি, সময় ও পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ আছে।
শেষ পর্যন্ত কমিশনের সুপারিশ সব দল মেনে নেবে কি না, তাও পরিষ্কার নয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা আগে দেখতে চায় সুপারিশে কী থাকে। বিশেষ করে গণভোটের সময় ও ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে কমিশনের সুপারিশে কী থাকছে, তা দেখে দলগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।