প্রতিনিধি 8 October 2025 , 4:06:02 প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতের হিমাচল প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভয়াবহ ভূমিধসে একটি যাত্রীবাহী বাস ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিলাসপুর জেলার ঝাণ্ডুত্তা বিধানসভা এলাকার ভালুঘাটের ভাল্লু সেতুর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও আরও যাত্রী ভেতরে আটকে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি হরিয়ানার রোহতক থেকে বিলাসপুরের ঘুমারিনের দিকে যাচ্ছিল। পথে টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের ওপর থেকে বিশাল পাথর ও মাটি ধসে পড়ে বাসটির ওপর আছড়ে পড়ে। পাথরের আঘাতে বাসটি একেবারে চ্যাপ্টা হয়ে যায়, ভেতরে থাকা যাত্রীরা কেউই বের হতে পারেননি।


দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ) ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। উদ্ধার তৎপরতা গভীর রাত পর্যন্ত চলতে থাকে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এদিন বিলাসপুরে ১২ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে পুরো এলাকায় একাধিক স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা এবং আহতদের চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক শোকবার্তায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং প্রতিটি নিহতের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাহাড়টির একটি বড় অংশ সরাসরি বাসের ওপর ভেঙে পড়ে, ফলে যানবাহনটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যায়। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, বাসের ভেতরে আটকে থাকা যাত্রীদের জীবিত উদ্ধার পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়া এবং পাহাড়ি এলাকার জটিল ভূপ্রকৃতি উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষাকালে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে, তবে এবারের ঘটনাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।