প্রতিনিধি 4 October 2025 , 7:31:01 প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাদেরকে ২ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে, বিচারক এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন, এনসিপি-মোহাম্মদপুর থানা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুর রহমান মানিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক থানা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রাব্বি (২৮), এছাড়া মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান ও হাবিবুর রহমান ফরহাদ।
অপরদিকে, ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তাদের ২ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিন অপর আসামি মো. শাহিন হোসেনকে (৩৮) প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর আসামিদের কারাগারে পাঠান আদালত। জানা গেছে, চাঁদাবাজির ঘটনায় সেফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শিল্পী আক্তার ২৯ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলাটি করেন৷

অভিযোগে বলা হয়, ২০ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় আসামি মো. শাহিন মোহাম্মদপুরের সেফ হাসপাতালে এসে গর্ভবতী স্ত্রীর বাচ্চার অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ডেলিভারির অনুরোধ করলে, কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু শাহীনের অনুরোধ-‘যেভাবে হোক আমার স্ত্রীর ডেলিভারির ব্যবস্থা করেন’। কর্তৃপক্ষ তখন তার কাছ থেকে সব কাগজপত্রে সই নিয়ে কাজ শুরু করেন।
এ সময় ডেলিভারি চিকিৎসা চলমান থাকায়, গর্ভবতীর একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব হয়। এদিকে, বাচ্চা মারা যাওয়ার কারণে মামলা না করার জন্য হাসপাতালের মালিকের ছেলের মো. আবু সাইদের কাছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামী। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আসামিরা হাসপাতালের মেশিন ও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে দেড় লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন।
একপর্যায়ে আসামিরা সাঈদকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন। ভয়ে আসামিদের ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন বাদী৷ আসামিরা চাঁদা নিয়ে ঘটনাস্থল হতে চলে যায় এবং অবশিষ্ট টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়ার জন্য বলে। এরপর বিভিন্ন সময় আসামিরা মোবাইল ফোনে টাকা চায়। অন্যথায় মামলার হুমকি দেয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আসামিরা ১ লাখ টাকা চাঁদা নেন। বাকি টাকা দ্রুত দেয়ার জন্য চাপ তৈরি করেন। এর আগে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় সেফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় সেনাবাহিনী তাদের গ্রেফতার করে।