প্রতিনিধি 1 September 2025 , 1:22:27 প্রিন্ট সংস্করণ
সারারাত কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করলে সেটি আপনাকে নানাভাবে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। প্রাকৃতিক এই পানীয় সমসাময়িক পুষ্টি বিজ্ঞানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যদিও এর ব্যবহার বেশ পুরনো। গবেষণায় দেখা গেছে যে, কিশমিশের পানি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখলে তা হৃদরোগ প্রতিরোধ, হজম এবং শক্তি বাড়াতে কাজ করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, সকালে কিশমিশ ভেজানো পানি কেন খাবেন- কিশমিশে পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড থাকে। এই ফ্রি-র্যাডিক্যাল-প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে বলে জানা যায়। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হলো এমন একটি অবস্থা যা কোষের ক্ষতি এবং বার্ধক্য এবং রোগের কারণ হতে পারে। জার্নাল অফ ফুড সায়েন্সের একটি গবেষণা অনুসারে, কিশমিশ খাওয়ার কয়েক মিনিট পরে রক্তপ্রবাহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পায়।
এ ছাড়াও কিশমিশে প্রাকৃতিক আয়রন থাকে। এটি একটি ভিটামিন যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরির সময় প্রয়োজন হয়। কিশমিশের পানি খাওয়া স্বাস্থ্যকর আয়রনের মজুদের জন্য উপকারী। বিশেষ করে কালো কিশমিশ থেকে, যাতে সোনালী কিশমিশের চেয়ে বেশি আয়রন থাকে। কিশমিশে পটাসিয়ামও থাকে। পটাশিয়াম হলো একটি খনিজ যা রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। হালকা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন কিশমিশ গ্রহণ সিস্টোলিক রক্তচাপের মাত্রা হ্রাস করে। এই পানীয় প্রতিদিন পরিমিত খেলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।
অপরদিকে, কিশমিশের পানিতে ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব নেই, যা ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং ফর্সা করে তুলতে পারে। কিশমিশের ভিটামিন সি এবং ই কোলাজেন তৈরি এবং ত্বকের মেরামতে ব্যবহৃত হয়। কিশমিশের পানি ত্বকের অন্যান্য যত্নের পরিপূরক হতে পারে, তবে সুষম খাদ্যের বিকল্প নয় এটি।