• আন্তর্জাতিক

    বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত

      প্রতিনিধি 7 November 2025 , 11:41:02 প্রিন্ট সংস্করণ

    বিজ্ঞাপন
    Main Banner Ads For Captains TV

    চিকেন নেক নামে পরিচিত সিলিগুড়ি করিডোর রক্ষায় বাংলাদেশ সীমান্তের পাশেই তিনটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। এর মাধ্যমে পূর্ব সীমান্তের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার হয়েছে বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি।

    জানা গেছে, আসামের ধুবড়ি সংলগ্ন বামুনি, বিহারের কিশনগঞ্জ ও পশ্চিমবঙ্গের চোপড়া এলাকায় এই ঘাঁটিগুলো গড়ে তোলা হয়েছে।

    ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই উদ্যোগ দেশটির বৃহত্তর সামরিক পরিকল্পনার অংশ, যার উদ্দেশ্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো, কৌশলগত দুর্বলতা রোধ করা ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

    সিলিগুড়ি করিডোর উত্তরবঙ্গের একটি ২২ কিলোমিটার প্রশস্ত সরু ভূখণ্ড, যা মূল ভারতের সঙ্গে তার সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যকে সংযুক্ত করে। করিডোরটির চারপাশে রয়েছে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও চীন। ফলে অঞ্চলটি কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। চীনের সঙ্গে বিনিয়োগে নতুন করে ঘনিষ্ঠতা ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা। ভারতীয় গোয়েন্দা বিশ্লেষকরা এই পরিস্থিতিকে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন, যা সিলিগুড়ি করিডোরের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে।

    বিজ্ঞাপন

    ভারতীয় সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, সিলিগুড়ি করিডোর দুর্বল নয়, বরং এটি ভারতের ‘সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা করিডোর’। এই অঞ্চল বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে সুরক্ষিত। নতুন ঘাঁটিগুলো দ্রুত মোতায়েন, লজিস্টিক সহায়তা ও বাস্তবসম্মত গোয়েন্দা সমন্বয় বাড়াবে।

    এর আগে ভারতীয় সেনাপ্রধান মন্তব্য করেছিলেন, চিকেনস নেককে আমি দুর্বল নয়, বরং শক্তিশালী অঞ্চল হিসেবে দেখি, কারণ পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পুরো সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনে একসঙ্গে এখানে মোতায়েন করা সম্ভব।

    ভারতীয় সেনার ত্রিশক্তি কোর (৩৩ কোর) সিলিগুড়ি করিডোরের প্রতিরক্ষা পরিচালনা করে। এই ইউনিট নিয়মিত যুদ্ধাভ্যাস ও লাইভ-ফায়ার মহড়া চালায়, যেখানে টি-৯০ ট্যাঙ্কও ব্যবহার করা হয়।

    করিডোরের আকাশপথ রক্ষায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন করা রাফাল যুদ্ধবিমান, বিভিন্ন মিগ ভ্যারিয়েন্ট ও ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র রেজিমেন্ট, যা একযোগে আক্রমণ ও প্রতিরোধ দু’ধরনের সক্ষমতা নিশ্চিত করে।

    জানা গেছে, এই অঞ্চলে ভারত স্থাপন করেছে তিনটি উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রাশিয়া থেকে কেনা এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র, ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এমআরএসএএম সিস্টেম ও দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই তিন স্তরের প্রতিরক্ষা একে অপরকে পরিপূরকভাবে কভার করে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে সম্ভাব্য আকাশ বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে সক্ষম।

    এস-৪০০ সিস্টেমের প্রধান লক্ষ্য হলো চীনসহ যে কোনো বৈরী দেশের বিমান অনুপ্রবেশ রোধ করা। সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৮ হাজার ১৬০ কোটি রুপি বরাদ্দ দিয়েছে আকাশ-অ্যাডভান্সড সিস্টেমের দুটি নতুন রেজিমেন্টের জন্য, যেখানে থাকবে উন্নত সিকার প্রযুক্তি ও ৩৬০ ডিগ্রি হামলা প্রতিরোধ ক্ষমতা।

    আরও খবর

    Sponsered content

    বিজ্ঞাপন
    সর্বশেষ সংবাদ
    12:38 AM খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ডেসকো জিয়া পরিষদের বিশেষ দোয়া মাহফিল 10:45 PM সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা 10:43 PM বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম 10:41 PM বিপিএল নিলাম: প্রথম পর্ব শেষে কার পকেটে কত টাকা? 10:39 PM বিডিআর হত্যাকাণ্ডে দলগতভাবে জড়িত আওয়ামী লীগ, মূল সমন্বয়কারী তাপস: কমিশন 10:36 PM ‘বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন- প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না, চাই দেশের গণতন্ত্র ফিরে আসুক’ 6:42 PM অবিক্রিত মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ 6:17 PM যে কারণে জাকের-মাহিদুলকে দলে নিতে বাধ্য হলো নোয়াখালী 6:00 PM গণভোটের তারিখ পরিবর্তন করতে হবে: গোলাম পরওয়ার 5:59 PM ৭৫ লাখ টাকায় লিটনকে স্কোয়াডে টানে রংপুর রাইডার্স