প্রতিনিধি 20 October 2025 , 5:52:40 প্রিন্ট সংস্করণ

প্রেমের কারণেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ। এ দিকে খুনের ১৮ ঘণ্টা পরও মামলা হয়নি। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই সময় তার গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
অপরদিকে জোবায়েদের পরিবার বলছে, তারা রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে মামলা দায়ের চেষ্টা করছে। কিন্তু সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ মামলা করতে পারেনি। সহপাঠী ও পুলিশের তথ্যমতে, ভবনটির একটি বাসায় উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রীকে পড়াতেন জোবায়েদ। তাঁর লাশ উদ্ধারের পর ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বংশাল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ দিকে জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা ছাত্রীসহ ৬ জনের নামে মামলা দিতে চেয়েছি। কিন্তু বংশাল থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এতজনের নামে মামলা না দেয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এতজনের নামে মামলা দিলে হালকা হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা নিতে আমরা প্রস্তুত। পরিবার যাঁদের নামে মামলা দিতে চায়, আমরা মামলা নেব। পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি।’
আটকের পর ওই ছাত্রীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এক বছর ধরে তাকে পড়াচ্ছিলেন জোবায়েদ। ছাত্রী তাকে পছন্দ করতেন। একপর্যায়ে এ কথা জেনে যান তার ‘বয়ফ্রেন্ড’। তখন ছাত্রী তার ‘বয়ফ্রেন্ডের’ সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এতে ‘বয়ফ্রেন্ড’ ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার বিকেলে ভবনটির তিনতলায় জোবায়েদকে খুন করেন। অভিযুক্ত এই তরুণ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তিনি আরমানিটোলাতেই থাকেন।