প্রতিনিধি 8 October 2025 , 1:21:42 প্রিন্ট সংস্করণ

মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শেষে গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়ে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। এদিকে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির পর ইসরাইল পুনরায় হামলা শুরু করবে না, এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আলোচনার মাঝেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী এতে অন্ত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মিশরের পর্যটন শহর শারম আল–শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা হয়।
এদিনের আলোচনায় গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহারের মানচিত্র ও ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, হামাস প্রতিনিধি দল দাবি জানিয়েছে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির প্রতিটি ধাপ যেন ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহারের ধাপগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত থাকে।
হামাস জোর দিয়ে বলেছে, শেষ ইসরাইলি বন্দির মুক্তির সময়ই হতে হবে দখলদার বাহিনীর চূড়ান্ত প্রত্যাহার। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি এবং গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার অপরিহার্য।
এদিকে এদিকে বুধবার ট্রাম্পের গাজা প্রস্তাবের আলোচনায় মিশরে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জাসিম আল থানিও অংশ নেবেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি আলোচনার অগ্রগতির সাথে সাথে নমনীয় অবস্থানে রয়েছেন এবং নিজেদের মতামতগুলো প্রকাশ করছেন।
এদিকে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির পর ইসরাইল পুনরায় হামলা শুরু করবে না, এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেন, প্রাথমিক নিশ্চয়তা হলো— যদি এই চুক্তি সম্পন্ন হয়, আর বর্তমানে আলোচনাও চলছে, তাহলে আমরা সম্ভাব্য সবকিছু করবো। আমাদের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা আছে এবং আমরা তা প্রয়োগ করব যেন সবাই চুক্তি মেনে চলে।
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের গাজায় গত দুই বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধকে তাদের অস্তিত্ব রক্ষা ও ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ বলে অভিহিত করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইল ‘মধ্যপ্রাচ্যের চেহারা বদলে দিয়েছে’। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে ইরানের জোটবদ্ধ শক্তিগুলোকে রুখে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জনে কাজ চালিয়ে যাবো। এর মধ্যে রয়েছে: সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা, হামাসের শাসনের অবসান ঘটানো এবং গাজা যাতে আর ইসরাইলের জন্য হুমকি না হয়, সেটা নিশ্চিত করা।
একদিকে যখন পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন ইসরাইলে প্রতিনিধিরা, অন্যদিকে উপত্যকাটিতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি দখলদার বাহিনী। বিভিন্ন স্থানে নতুন করে হামলায় হতাহত হয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি।