প্রতিনিধি 1 October 2025 , 9:46:10 প্রিন্ট সংস্করণ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আজ চতুর্থ দিন। অষ্টমী পর্ব শেষ করে আজ পালিত হচ্ছে মহানবমী। দেবীর বিদায়ের সূচনা হিসেবে দিনটির রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। দশমীতে দেবী দুর্গা কৈলাশে (স্বামীর গৃহে) ফিরে যাবেন।
আজ বুধবার (১ অক্টোবর) মহানবমীর সকালে তর্পণ শেষে দুর্গার মহাস্নান ও ষোড়শ উপচারে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় হবে দেবীর ‘মহাআরতি’। এদিনের অন্যতম রীতি হলো বলিদান ও নবমী হোম। এছাড়া ১০৮টি নীলপদ্ম দিয়ে দেবী দুর্গার বিশেষ পূজা হয়। পূজা শেষে যথারীতি অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

নবমী তিথির সূচনা হয় সন্ধিপূজার মধ্য দিয়ে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমীর প্রথম ২৪ মিনিটে অনুষ্ঠিত এই পূজায় মূলত দেবী চামুন্ডার আরাধনা করা হয়। এ সময় ১০৮টি মাটির প্রদীপ জ্বালানো ও ১০৮টি পদ্মফুল নিবেদন করা হয়। পূজার মন্ত্রে এই বিশেষত্ব স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, মহানবমী রাত্রিতে দেবীদুর্গার আরাধনার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। যদিও বছরব্যাপী যে উৎসবের প্রতীক্ষায় থাকেন ভক্তরা, তার বিদায়ের ঘণ্টা বেজে ওঠে এই দিনে। তাই নবমী নিশিকে ধরে রাখতে ভক্তরা আকুতি জানান। মণ্ডপে মণ্ডপে বাজতে থাকে একটাই সুর—‘ওরে নবমী নিশি, না হইও রে অবসান’।
পুরোহিতদের ভাষ্য মতে, মহানবমীতে ষোড়শ উপচারের পাশাপাশি নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীর পূজা সম্পন্ন হয়। এদিন যজ্ঞে ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে দেবীর উদ্দেশে আহুতি দেওয়া হয়।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানো হবে।