প্রতিনিধি 23 September 2025 , 5:04:25 প্রিন্ট সংস্করণ

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। সালমানের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায়, তার মায়ের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৩ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হকের আদালত নতুন দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
মঙ্গলবার রিভিশন শুনানিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আবিদ হোসেন রিভিশন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে আগামী ১৩ অক্টোবর শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

অপরদিকে, ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। তবে প্রতিবেদনে এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলা হয়। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। এদিন রিভিশন শুনানিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হন সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আবিদ হোসেন শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে আগামী ১৩ অক্টোবর শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
পরে ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাদীপক্ষ রিভিশন মামলা দায়ের করে।