প্রতিনিধি 21 September 2025 , 3:51:26 প্রিন্ট সংস্করণ

মাদক একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয় বরং নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এদিন শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরের জেনেভাক্যাম্পে চালানো অভিযানের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মাদককারবারি নির্মূল করা যাচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি ইবনে মিজান বলেন, আমরা (পুলিশ) মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, একেবারে নির্মূল করা সম্ভব না। বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে আমরা মাদক কারবারিদের ও মাদকসেবীদের নিয়ন্ত্রণে রাখি। আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আশা করি আমরা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছে যাবো।

গ্রেফতারের পর আসামি বেরিয়ে এসে একই অপরাধের জড়ানোর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ হচ্ছে ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের একটি পার্ট। আমাদের অংশে যেটুকু রয়েছে, আসামি গ্রেফতার তদন্ত প্রক্রিয়া এটি আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। যেন কোনো ত্রুটি না হয়। বাকি যে অংশটুকু- সেটিতে আমাদের কোনো হাত নেই। সেটি অন্য সংস্থা করেছে। এই প্রসঙ্গে আমাদের মন্তব্য না করাই সমুচীন।
তেজগাঁও বিভাগের এই কর্মকর্তা বলেন, ৫ আগস্টের পর মোহাম্মদপুরে অপরাধের চরম বিস্ফোরণ ঘটেছে। যেসব অপরাধী ঢাকার বাইরে ছিল তারাও চলে এসেছে। অনেক অপরাধ সেখানে ঘটেছে৷ তারপর আমরা লাগাতার মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে আসছি। গত ৬ থেকে ৭ মাসে আমরা ৩ হাজারের বেশি অপরাধীকে আইনের আওতায় এনেছি। আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিদিন যেসব এলাকায় অপরাধীদের বিচরণ রয়েছে সেখানে অভিযান পরিচালনা করতে। এর ফলে বেশি অপরাধ হওয়া জায়গায় অপরাধ কমে গেছে। আমাদের অভিযান চলমান। আশা করি পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।
মাদক ও সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যখ্যাত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মাদককারবারি, বিক্রেতা, অস্ত্রের জোগানদাতা ও ককটেল সংরক্ষণকারীসহ ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। বিকেল ৪টা থেকে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৮টি ককটেল, ২টি পেট্রোল বোমা, ৬টি সামুরাই, ৫টি হেলমেট, ৩টি ছুরি, ১১টি চোরাই মোবাইল ফোন, এবং ৫০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে অনেকে জেনেভা ক্যাম্পের মাদককারবারি বুনিয়া সোহেল, পিচ্চি রাজা, চুয়া সেলিমের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিল।