প্রতিনিধি 17 September 2025 , 5:36:51 প্রিন্ট সংস্করণ

পৃথিবীতে মানবকল্যাণে উপকারী খাবারগুলোর মধ্যে খেজুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মিষ্টি খেতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খেজুর খেতে পারেন। আরববিশ্বে এর জনপ্রিয়তা তুলনাহীন। কারণ এটি খেতে মিষ্টি স্বাদের ঠিকই, কিন্তু এতে ক্যালোরি থাকে কম। এ ছাড়াও নিয়মতি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করলে সুস্থ থাকা সহজ। খেজুরে পটাশিয়াম, ফাইবার, প্রাকৃতিক শর্করা, ম্যাগনেসিয়াম, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ এবং বি-ভিটামিনসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে।
জেনে নেয়া যাক-খেজুর মানবদেহে কতটা উপকারী: ৩ দশমিক ৫ আউন্স খেজুরে প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা হজমের স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত। এই ফাইবার নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং সুস্থ অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে অবদান রাখে। এতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। যার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড।

এই যৌগগুলো প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, গর্ভাবস্থার শেষ সপ্তাহগুলোতে খেজুর খেলে তা প্রসব বেদনা কমাতে সাহায্য করে। খেজুর সার্ভিকাল প্রসারণে সাহায্য করে, যে কারণে সঠিক সময়ে সন্তান প্রসব সহজ হয়। এটি রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও খেজুরের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, যার অর্থ এটি রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায় না। উচ্চ ফাইবারযুক্ত উপাদান চিনির শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে।
খেজুর পরিশোধিত চিনির একটি চমৎকার ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। এর প্রাকৃতিক মিষ্টিতে ফাইবার এবং পুষ্টির অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে, যা বেকিং, স্মুদি বা প্রাকৃতিক সিরাপ হিসাবে একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টবিশেষ করে ফ্ল্যাভোনয়েড, মস্তিষ্কের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
প্রাকৃতিক শক্তি বৃদ্ধি ও হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে। খেজুরে হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু খনিজ পদার্থ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম। নিয়মিত খেজুর খেলে তা হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়াও এতে গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় খেজুর শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলা যেতে পারে।