প্রতিনিধি 16 September 2025 , 7:58:25 প্রিন্ট সংস্করণ

প্রচলিত আছে বাঙ্গালী দাঁত থাকতে তার মর্যাদা বুঝে না! এ জন্যই মুখ গহবর ও দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ করা জরুরি। চিকিৎসকরাও সকালে ব্রাশ করার চেয়ে রাতে ব্রাশ করার ওপর জোর দিয়েছেন। যদিও প্রতিবার খাদ্য গ্রহণের পর এটি করা উত্তম। কোন কারণে রাতের এ রুটিন এড়িয়ে গেলে মুখে খাদ্যকণা, ব্যাকটেরিয়া এবং চিনি জমা হয়। যা দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির রোগ ও মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিতে ব্যপক ভূমিকা রাখে।
যেহেতু ঘুমানোর সময় লালা উৎপাদন কমে যায়, তাই মুখ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলতে কম সক্ষম হয়, যার ফলে রাতে ব্রাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। দাঁত পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি এই সহজ অভ্যাস-ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেয়া যাক এ বিষয়ে আরও কিছু তথ্য-

এনামেল শক্তিশালী ও ক্ষয় রোধ করে: রাতে ফ্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করলে ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত সুরক্ষা পাওয়া যায়। ফ্লোরাইড দুর্বল এনামেলের ক্ষুদ্র অংশগুলো মেরামত করে এবং দাঁতকে অ্যাসিড আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী করে তোলে। এ ছাড়াও দাঁতের ক্ষয় রোধ করে
দিনের বেলায় খাবার এবং পানীয় থেকে দাঁতে লেগে থাকা চিনি খেয়ে ব্যাকটেরিয়া প্লাক তৈরি করে। কলেজ অফ ডেন্টিস্ট্রি অ্যান্ড ডেন্টাল ক্লিনিকের মতে, রাতের বেলা ব্রাশ করলে এই ক্ষতিকারক প্লাক দূর হয়, যা দাঁতের ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
মুখে দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে লড়াই-উজ্জ্বল হাসি: সকালের দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাস ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো দুর্গন্ধযুক্ত যৌগ নির্গত করে, যা ঘুম থেকে ওঠার সময় নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ বাড়িয়ে তোলে। ঘুমানোর আগে ব্রাশ করলে এই আটকে থাকা কণাগুলো দূর হয়, ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি হ্রাস পায় এবং সকালে সতেজ নিঃশ্বাস নিশ্চিত হয়। যা উজ্জ্বল হাসি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মাড়ির প্রদাহ কমায়: মাড়ির রোগ শুরু হয় মাড়ির প্রদাহ দিয়ে। এ ক্ষেত্রে মাড়িতে লালচেভাব, ফোলাভাব এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা উপেক্ষা করা হলে তা পেরিওডোন্টাইটিসে পরিণত হতে পারে, যা আরও গুরুতর সংক্রমণ। যা দাঁতকে সমর্থনকারী হাড়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই ঘুমানোর আগে ব্রাশ করলে ব্যাকটেরিয়া অপসারণের ফলে মাড়িতে প্রদাহের ঝুঁকি কমায়।