প্রতিনিধি 14 September 2025 , 7:31:31 প্রিন্ট সংস্করণ

বিগত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সপ্তম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রোববার (১৪ আগস্ট) ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর একক বিচারিক প্যানেল এ দিন ধার্য করেন।
এদিন বেলা পৌনে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। রোববার ট্রাইব্যুনালে ৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে দুজন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য। তারা হলেন-কনস্টেবল অজয় কুমার ও কনস্টেবল আবদুর রহমান। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাদের জেরা করেন স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন, প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, শহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রসিকিউটর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, গত ১১ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ দিনের মতো প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রাজধানীর নিউমার্কেটের দোকানের কর্মচারী মো. টিপু সুলতান ও নৌবাহিনীতে মালামাল সরবরাহকারী মো. মনিরুজ্জামান। ৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চম দিনের মতো সাক্ষ্য দেন ৩ জন। এর মধ্যে একজন শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের মা সানজিদা খান দীপ্তি। অন্য দুজন হলেন-আনাসকে গুলি করতে দেখা প্রত্যক্ষদর্শী রাব্বি হোসেন ও ব্যবসায়ী আবদুল গফুর।
এদিকে, কারাগার থেকে এ মামলার চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। মামলায় পলাতক আসামিরা হলেন-সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালায় পুলিশ। এতে বহু হতাহতের ঘটনার পাশাপাশি শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ জুনায়েদ, মো. ইসমামুল হক, মানিক মিয়া শাহরিক, মো. ইয়াকুব এবং মো. রাকিব হাওলাদার নিহত হন।