প্রতিনিধি 8 September 2025 , 9:18:14 প্রিন্ট সংস্করণ
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ-সহিংসতার কারণে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান ম্যাচ বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। এশিয়ান কাপ বাছাই সামনে রেখে এ দুটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার পর টিম হোটেল ক্রাউন ইম্পেরিয়ালের লবিতে অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশ দল। তাদের বহনকারী বাসও ছিল প্রস্তুত। ঠিক তখনই নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা) জানায়, হোটেল থেকে বের হওয়া নিরাপদ নয়। এরপর হোটেলকক্ষে ফিরে যান জামাল ভূঁইয়ারা।
দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ বাতিল হওয়ার আগে পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফ), ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কাঠমান্ডুর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমাদের সব সমর্থক ও ফুটবল পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমাদের দলের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। দল নিরাপদে রয়েছে এবং তারা বর্তমানে টিম হোটেলে সুরক্ষিত আছে।’
ম্যানেজার আমের খান এর আগে জানিয়েছিলেন, প্রীতি ম্যাচ হবে কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে নেপাল ফুটবল। আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত পেতে আজ রাত ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। কিন্তু তার আগেই আমের খান ম্যাচ বাতিল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে বেলা ৩টার অনুশীলন স্থগিত করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এরপর টিম হোটেলেই রিকভারি সেশন হয় ফুটবলারদের। গোলকিপার সুজন হোসেন নেপাল থেকে মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা টিম হোটেলেই আছি। তবে নেপালের পার্লামেন্ট ভবনের অবস্থা নাকি ভালো না। এক নেপালি অফিশিয়াল বললেন, অনেকেই মারা গেছেন। এমন অবস্থায় আর আমরা বের হইনি’।
উল্লেখ্য, বিক্ষোভ-সহিংসতায় কাঠমান্ডুতে ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। অপরদিকে কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, নেপালে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণেরা বিক্ষোভ করেন। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা পেরিয়ে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন। তখন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।