
প্রতিনিধি 10 November 2025 , 3:05:02 প্রিন্ট সংস্করণ

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহ থাকলেও একটি মহল ভোট পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা চলছে। গ্রাস করার চেষ্টা চলছে। ধর্মীয় অনুভূতি বিক্রি করে তারা এ কাজ করছে। এজন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অম্লান রাখতে হবে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার। ৭১ যেন হয়নি, এই দেশের জন্য আমরা কোনো অবদান রাখিনি। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে তারা সবকিছু করেছে তারা এমন ধারণা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। এই মানুষগুলোকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হবে।’
১৯৭১ সালে বেগম খালেদা জিয়া তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে পাকবাহিনীর হাতে কারাভোগ করেছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বুকের ভেতর আছে, যা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, ৭১-এ আমাদের হাজার হাজার নিরপরাধ ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের অত্যাচারে অনেকেই দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে লুকিয়ে ছিলো। আমাদের মা-বোনদের অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছিলো। সেই দিনগুলোকে ভুলিয়ে দিতে চাইলে কি আর ভুলে যাওয়া সম্ভব! সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীদের যোগসাজশে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলো।
নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি মহল নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানে আমাদের সর্বনাশ করা, এই দেশের সর্বনাশ করা। এখন একটি নির্বাচিত সরকারের খুব দরকার। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক নুর করিম।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক নাঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব সাদেক আহম্মদ খান, ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সদস্য আলহাজ্ব মনসুর আলী সরকার।