
প্রতিনিধি 8 November 2025 , 6:47:18 প্রিন্ট সংস্করণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট: রাজধানীর শাহবাগে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ১২০ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন, বলে দাবি করেছেন শিক্ষক নেতারা। আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিক্ষকরা আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন। অনেকে চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন, কেউ এখনো জরুরি বিভাগে রয়েছেন।’
এদিন বিকেলে ১০ম গ্রেডে বেতনসহ ৩ দফা দাবিতে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’ পালনের অংশ হিসেবে শিক্ষকরা শাহবাগে অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এতে তাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং শিক্ষকরা বিভিন্ন দিকে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।

এর আগে দুপুরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শেষে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’র ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। সেখান থেকে মিছিলসহ তারা শাহবাগের দিকে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হলে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে অনেক শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আশ্রয় নেন।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো-সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা প্রদান।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম এবং ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সহকারী শিক্ষকরা এতে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
অপরদিকে, সহকারী শিক্ষকদের আরেক অংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত দাবি আদায়ের সময়সীমা দিয়েছে। এ ছাড়া ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হলে তারা পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে।