প্রতিনিধি 31 October 2025 , 9:42:34 প্রিন্ট সংস্করণ

কয়েক দফায় ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার মধ্যে এবার তেল আবিবকে আরও দুই জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংগঠন হামাস। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে কফিন হস্তান্তর করে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রস।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার হামাস ইসরায়েলের কাছে যে দুই জিম্মির লাশ ফেরত দিয়েছে তারা হলেন-৮৪ বছর বয়সি আমিরাম কুপার এবং ২৫ বছর বয়সি সাহার বারুখ। মৃতদেহ বুঝে পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কুপারকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের কিবুত্স নির ওজের তার নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করেছিল সশস্ত্র হামাস। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ধারণা করেছিল, তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বন্দিদশায় খুন হন। আইডিএফ তার মৃত্যুর বিষয়টি গত বছরের জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে।

অন্যদিকে, বারুখকেও হামাস যোদ্ধারা একই দিনে কিবুত্স বেয়েরি থেকে অপহরণ করেছিল। আইডিএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এক ব্যর্থ উদ্ধার অভিযানে তিনি নিহত হন।
আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ ও পরিস্থিতি সম্পর্কে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ নেয়া হবে তেল আবিবের আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার পর।
গত ১৩ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর ওইদিনই ২০ জীবিত জিম্মির লাশ ফেরত দেয় হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী। এরপর ধীরে ধীরে মৃত জিম্মিদের ফেরত দেয়া শুরু করে।
হামাস মৃত জিম্মিদের মৃতদেহ যেসব জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল সেগুলো কয়েকটি ধ্বংসস্তূপের নিচের চাপা পড়েছে। এগুলো উদ্ধার করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
এরইমধ্যে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে দখলদার ইসরায়েল। চুক্তি ভেঙ্গে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে দখলদাররা নতুন করে প্রায় ১৬০ জনকে হত্যা করেছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র বুধবার রাতে ১০৪ জনকে হত্যা করেছে তারা।
 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                    