প্রতিনিধি 7 October 2025 , 9:08:33 প্রিন্ট সংস্করণ

ডায়াবেটিস হলেও কলা সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা উচিত নয়। বরং পরিমিত খাওয়া হলে এটি বেশ উপকারী। যদিও ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য এই ফলের মিষ্টি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তাই এসব রোগীদের কি কলা খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেয়া উচিত! চলুন জেনে নেয়া যাক, ডায়াবেটিস রোগীরা পাকা কলা কীভাবে খাবেন-
এটি ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর: কলা ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। যা শরীরকে সেরোটোনিন তৈরি করতে সাহায্য করে। এই রাসায়নিক মানসিক সুস্থতা বজায় রাখে এবং বিরক্তি ও ক্লান্তি কমাতে কাজ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মানসিক চাপ এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, কলা প্রতি ১০০ গ্রামে ২২ দশমিক ৮৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে, যা প্রায় ৩৭০ কিলোজুল শক্তি প্রদান করে। এ ছাড়াও এর পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ফাইবারের ভালো উৎস: একটি মাঝারি আকারের পাকা কলায় প্রায় ৩ গ্রাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবার থাকে। রক্তপ্রবাহে চিনির শোষণ ধীর করতে ফাইবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষণা গবেষণায় দেখা গেছে যে, উচ্চ ফাইবার গ্রহণ করলে তা রক্তে শর্করা ব্যবস্থাপনাকে আরও ভালো করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি কমায়।
পটাসিয়াম এবং ইলেক্ট্রোলাইটে সমৃদ্ধ: প্রতি ১০০ গ্রাম কলাতে প্রায় ৩৫৮ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম সরবরাহ করে, যা সুস্থ পেশী কার্যকারিতা এবং শরীরে তরল ভারসাম্য বজায় রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম করেন এমন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কলা উপকারী। কারণ এটি ঘামের পরে খিঁচুনি প্রতিরোধ এবং ইলেক্ট্রোলাইট পুনরুদ্ধারে কার্যকরী।
স্লো-রিলিজ এনার্জি: কলায় জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে যা ধীরে ধীরে হজম হয়, বিশেষ করে যখন এটি খুব বেশি পাকা হয় না। এটি ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে এবং খাবারের মধ্যে ঘন ঘন খাবার খাওয়া রোধ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্লো-রিলিজ এনার্জি বিশেষভাবে সহায়ক। তাই কোন ভাবনা ছাড়াই নিশ্চিতে রুটিন মেনে খেতে পারেন পাকা কলা।