প্রতিনিধি 6 October 2025 , 6:42:51 প্রিন্ট সংস্করণ

পরিবেশ আন্দোলন ও সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ১৫৬ অভিযাত্রীকে আটকের পর এবার গ্রিসে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সংবাদমাধ্যম আই ২৪ নিউজ-এর বরাতে সোমবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ফ্লোটিলার অভিযানে গ্রিসের যতজন নাগরিক ছিলেন- তাদেরকে এবং গ্রেটাসহ ১৬৫ অভিযাত্রীকে একটি বিশেষ উড়োজাহাজে গ্রিসে পাঠানো হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য জরুরি খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে গাজা উপকূলের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের ৪৩টি ছোট-বড় নৌযান। ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা- ফিলিস্তিনিভিত্তিক এই ৪ আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চার সংগঠনের জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ছিল এই মিশনের মূল উদ্যোক্তা।
পরিবেশ আন্দোলনের আলোচিত কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও রাজনীতিবিদ মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪টি দেশের পাঁচ শতাধিক নাগরিক ছিলেন সেই মিশনে। এই নাগরিকদের কেউ আইনপ্রণেতা, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।
গত বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে প্রথমে ১৩টি নৌযান আটকায় ইসরায়েলের নৌবাহিনী; কিন্তু তারপরও বাকি ৩০টি নৌযান গাজার উদ্দেশে এগিয়ে যাচ্ছিল। এই ৩০টি জাহাজের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল পোল্যান্ডের নৌযান ম্যারিনেট।
পরের দিন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার একে একে সেই নৌযান আটক করে ইসরায়েলের নৌ সেনারা। আটক নৌযানগুলো এবং অভিযাত্রীদের ইসরায়েলে আশদোদ বন্দরে রাখা হয়েছে।
আটক অভিযাত্রীদের মধ্যে গ্রেটা থুনবার্গও আছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযাত্রীদের মধ্যে কয়েক জনকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাকিদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।