প্রতিনিধি 2 October 2025 , 4:26:14 প্রিন্ট সংস্করণ

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর)। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই শারদীয় উৎসব।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, দশমীর দিনে দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে ফিরে যাবেন স্বামীগৃহ কৈলাসে। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে আজ শুধুই বিষাদের ছায়া। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় থাকবে দেবী দুর্গার বিদায়ের সুর। বিসর্জনের সকালে হবে বিহিত পূজা। এরপর হবে দর্পণ ও বিসর্জন। এদিন দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে। এদিন দেবী দুর্গা মর্ত্যে ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের অসুরিক প্রবৃত্তি, কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এসব প্রবৃত্তি বিসর্জন দিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।
বিজয়া দশমীতে সারাদেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। দশমী উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের। মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির,পাইকপাড়া মন্দিরসহ আশেপাশের এলাকার মন্দিরগুলোতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি মন্দিরগুলোতে সেনা সদস্যদের কঠোর নজরদারি লক্ষ করা গেছে।

মিরপুরের বিভিন্ন মন্দিরে শেষ পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ এবং দেবীর প্রতিমার বিদায়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা একসাথে মিলিত হয়ে উৎসব উদযাপন করেছেন।
স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানান, তারা আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদ বোধ করছেন। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি তাদের মধ্যে স্বস্তি এবং প্রশান্তি তৈরি করেছে।
মিরপুর কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপ কমিটির সহ-সভাপতি পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, “সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর উপস্থিতি আমাদের সকলকে নিরাপদ করেছে। এটি বিজয়া দশমীর আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে।” অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আরও সুন্দর এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় পূজা উদযাপন করছে নগরবাসী।

এবার রাজধানীর ১০টি ঘাটে বিসর্জন হবে দুর্গাপূজার ২৫৪টি মণ্ডপের প্রতিমা। বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবির ৭ হাজার সদস্য। আর বিসর্জনের সময় নৌ-দুর্ঘটনা রোধে টহল দেবে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
এবার রাজধানীর ২৫৪টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর ১০টি ঘাটে। সবচেয়ে বেশি হবে বিনাস্মৃতি স্নান, ওয়াইস ও নবাববাড়ি ঘাটে। এছাড়াও, লালকুটি, মিলব্যারাক, পোস্তগোলা শ্মশান, বসিলা ব্রিজ, আমিনবাজার ও আশুলিয়ার ধউরে বিআইডব্লিউটিসি ফেরিঘাটে হবে বিসর্জন।