প্রতিনিধি 23 September 2025 , 2:35:55 প্রিন্ট সংস্করণ

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
প্রতারণার শিকার সোহেল রানা নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, তার ছোট ভাই ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সফিপুর আনসার ব্যাটালিয়ন একাডেমির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েন। এরপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর “মেজর সোহেল” পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন।
ভুক্তভোগী ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে গিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে সোহেল রানা নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর এবং তার সহযোগী তৈয়বুর রহমানকে কর্নেল পরিচয় দেন। তারা আনসারে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা দাবি করেন।
প্রথম ধাপে ভুক্তভোগী ৪ লাখ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং পরবর্তীতে বিকাশ ও নগদে আরও ১ লাখ টাকা প্রদান করেন। এর বিনিময়ে তাকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। তবে পরে তা যাচাই করে ভুয়া প্রমাণিত হলে ভুক্তভোগী থানায় ও র্যাব-৪ এ অভিযোগ দায়ের করেন।

র্যাব-৪ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার শাহাবুদ্দিন কবীর জানান মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা ও সাভারে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— সোহেল রানা ওরফে মিলন (৩৩), তৈয়ব ওরফে মোস্তাক (৪৬), মো. সজীব মুন্সি (৪৪), শামীম আহমেদ (৪৫), মো. মওলাদ আলী খান (৫২), সোহেল রানা ওরফে জিন্নাহ (৩৭)।
অভিযানে তাদের হেফাজত থেকে একটি প্রাইভেট কার, ৭টি মোবাইল ফোন, ২টি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং নগদ ৯৫,২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা স্বীকার করেছে যে তারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া র্যাব-৪ পূর্বেও একই অপরাধে তাদের দুইবার গ্রেফতার করেছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।