প্রতিনিধি 1 September 2025 , 1:17:53 প্রিন্ট সংস্করণ
কর্তৃত্ববাদিতার ভয় দেখান এবং নিজেদের নিরঙ্কুশ ভাবেন; মনে রাখবেন নিরঙ্কুশ শুধু মহান রাব্বুল আল আমিন। আর এই দেশে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা জনগণের হাতে। কাজেই কোনোভাবেই জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে, সেই নির্বাচনকে প্রতিহত করার ষড়যন্ত্র বা চেষ্টা দেশ-বিদেশ থেকে হোক না কেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে আগামী দিনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত করে তারেক রহমানকে বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ৩১ দফার আলোকে আগামীর বাংলাদেশ হবে সবার বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দুপুরে নগরীর টাউন হল মুক্তমঞ্চে ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এজেডএম জাহিদ এসব কথা বলেন।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বিএনপি করে গর্ব করবেন। কারণ বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দল। বিএনপি অতীতমুখী দল নয়, বিএনপি ভবিষ্যৎমুখী দল। বিএনপি বাঙালি জাতীর দেশপ্রেমিকের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল। বিএনপি জনগণের পাশে থাকার দল।
তিনি বলেন, আরেকটি দল ছিল তারা পলিয়ে গেছে। তাদের অতীত হচ্ছে আত্মসমর্পণের, দেশের স্বার্থকে বিকিয়ে দেওয়ার, জনগণের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া এবং এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা।
এ সময় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও শরীফুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম-আহবায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা, একেএম মাহবুবুল আলমসহ উত্তর-দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেখান থেকে আনন্দ র্যালিটি বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বর থেকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু ও সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকনের নেতৃত্বে পৃথক বিশাল আনন্দ র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে বিভিন্ন প্রকার ব্যানার-ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে। এ সময় শ্লোগানে শ্লোগানে পুরো নগরী মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।