প্রতিনিধি 21 September 2025 , 3:35:25 প্রিন্ট সংস্করণ

মেট্রোরেলে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন থেকে চার লাখ মানুষ যাতায়াত করছেন। বিশেষ দিনে সংখ্যাটি সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। এই বাড়তি চাপ সামলাতে শিগগিরই এমআরটি লাইন-৬ এ আরও দশ ট্রিপ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, রাত দশটার পরও ট্রেন চলবে।
ডিএমটিসিএলের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ছয়টায় সুইপিং ট্রেন দিয়ে দিনের যাত্রা শুরু হবে। এতে শুধু এমআরটি পাস ও র্যাপিড পাসধারী যাত্রীরা উঠতে পারবেন। এরপর সকাল সাতটা থেকে নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হবে। বর্তমানে উত্তরা থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়ে সাতটা দশ মিনিটে, মতিঝিল থেকে ছাড়ে সাড়ে সাতটায়।
রাতের শেষ ট্রেনের সময়ও বাড়ানো হচ্ছে। এখন উত্তরা থেকে শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত নয়টায়, মতিঝিল থেকে ছাড়ে রাত সোয়া নয়টায়। নতুন সূচিতে উত্তরা থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত সোয়া নয়টায়, নয়টা বিশ ও নয়টা ত্রিশ মিনিটে। মতিঝিল থেকে ছাড়বে রাত ন’টা পঞ্চাশ, দশটা ও দশটা দশ মিনিটে।

মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে এখন ছয়টি কোচ আছে। স্টেশনে আরও দুটি কোচ দাঁড়ানোর জায়গা থাকলেও প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) এখনো বসেনি। এ ছাড়া অতিরিক্ত কোচ যোগ করতে প্রয়োজনীয় অর্থ ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তাই আপাতত কোচ সংখ্যা না বাড়িয়ে ট্রেন ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
বর্তমানে প্রতিটি ট্রেনে একসঙ্গে দুই হাজার তিনশ যাত্রী ভ্রমণ করতে পারে। নতুন দশ ট্রিপ চালু হলে প্রতিদিন আরও প্রায় তেইশ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ট্রিপ বাড়ালে খরচ বাড়বে। তাই দীর্ঘমেয়াদে যাত্রী চাহিদা মেটাতে কোচ সংখ্যা বাড়ানোই বেশি কার্যকর। তবে স্বল্পমেয়াদে ট্রিপ সংখ্যা বৃদ্ধি যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সহায়ক হবে।
ডিএমটিসিএল গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, নতুন ট্রিপ চালাতে অতিরিক্ত লোকবল লাগবে। সে জন্য ইতিমধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই নতুন ট্রেন চালু হবে।
এর ফলে রাজধানীবাসী মেট্রোরেল সেবা আরও বেশি সময় ধরে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন এবং রাত দশটার পরও মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবে।