প্রতিনিধি 18 September 2025 , 4:39:31 প্রিন্ট সংস্করণ

সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের অধ্যাদেশ জারির সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ আগামী সোমবারের (২২ সেপ্টেম্বর) মধ্যে স্পষ্ট না করলে কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এই হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের (২০২২-২৩) শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, উচ্চশিক্ষা সিন্ডিকেট সরকারি সাত কলেজকে মানহীন শিক্ষা দিয়ে বছরের পর বছর শিক্ষার্থীদের রাজপথে রেখেছে।
তিনি বলেন, সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে রাজপথে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরেছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সেখানে শিক্ষকদের কোনো সিমপ্যাথি ছিল না। কখনোই তারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেননি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যখনই উচ্চশিক্ষার প্রশ্নে রাজপথে গিয়ে সরকারকে যৌক্তিকতা বুঝিয়ে একটি চূড়ান্ত সমাধানের পথে হাঁটছে, ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক উসকানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।

আব্দুর রহমান বলেন, উচ্চশিক্ষা একটি আপেক্ষিক বিষয়। এখানে জ্ঞানের উৎপত্তি এবং বিকাশ শব্দটি সম্পৃক্ত থাকে। বৃহত্তর শিক্ষা ক্যাডারের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু আমাদের শিক্ষকেরা বছরের পর বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে সরকারি সাত কলেজে তারা থেকে যাচ্ছেন। এ নিয়েও আমাদের কোনো আক্ষেপ নেই। কিন্তু কষ্ট লাগে, যখন ক্লাসরুমে যখন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী লেকচার দেন না।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক শব্দের বিরুদ্ধে আমরা কখনোই দাঁড়াইনি। এই শব্দের বিরুদ্ধে কখনো দাঁড়ানো সম্ভব নয়। তাহলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়। কিন্তু যে সিন্ডিকেট শিক্ষার গুণগত মানের বিরুদ্ধে, আমরাও তাদের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ হয়ে গেলে যেহেতু সামষ্টিক সমস্যাগুলো মিটে যায়, সেহেতু আগামী সোমবারের (২২ সেপ্টেম্বর) মধ্যে অবশ্যই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যাদেশের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ সকলের সামনে স্পষ্ট করতে হবে। তা না করলে এই শহরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিগত সময়ের মতো ভয়ংকরভাবে রাস্তায় নামবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। শিক্ষার অধিকারের জন্য রক্ত দিতে দিতে আমাদের রক্তও এখন আর বের হতে চায় না। কাজেই চূড়ান্ত সমাধান অধ্যাদেশের মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হবে।
এ সময় সরকারি সাত কলেজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেন।