
প্রতিনিধি 19 November 2025 , 11:30:56 প্রিন্ট সংস্করণ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) থেকে বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা শুরু হবে। এই পরীক্ষা ৪ থেকে ৫ দিন ধরে চলবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এই সময়কালে স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, উচ্চচাপের বাষ্প নির্গমনের সময় বিকট শব্দ হওয়া স্বাভাবিক এবং এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। এই প্রক্রিয়ায় জনসাধারণের কোনো ঝুঁকি বা বিপদের শঙ্কা নেই। এটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরিচালিত নিয়মিত কারিগরি প্রক্রিয়া।

অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে পারে। উপদেষ্টা বলেন, “আমরা নভেম্বরে চালু করার জন্য রাশিয়াকে চিঠি দিয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে, ডিসেম্বরে (পরীক্ষামূলকভাবে) চালু করবে।”
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটি টিম পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে, যা বর্তমানে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চূড়ান্ত সম্মতির জন্য তারা আবার এসে পর্যবেক্ষণ করবে।
পদ্মা নদীর তীরে নির্মিত রাশিয়ার ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর সমৃদ্ধ এই দুই-ইউনিট প্ল্যান্টটি চালু হলে বাংলাদেশের গ্রিডে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ যোগ হবে।
রূপপুর প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ৯০ শতাংশ বা ১১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ** দেবে রাশিয়া এবং বাকি ১০ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ এই প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার ঋণের অর্থ ছাড়ের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। ঋণের মূল পরিশোধ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে, যা প্রথমে ২০২৭ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয় এবং নতুন সিদ্ধান্তে তা ২০২৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হবে।