
প্রতিনিধি 3 November 2025 , 12:09:57 প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটরদের জন্য একটি নতুন সুবিধা চালু করেছে, যার মাধ্যমে তারা স্মার্টফোন কিস্তিতে বিক্রি করার ক্ষেত্রে এখন থেকে সব সিম লক রাখতে পারবে। বিটিআরসি এই সিদ্ধান্তটি ২৭ অক্টোবর তার ৩০০তম কমিশন সভায় গ্রহণ করেছে। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
বর্তমানে মোবাইল অপারেটররা কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রি করছে, তবে আগের নিয়ম অনুযায়ী তারা শুধু একটি সিম লক করতে পারত। কিন্তু বিটিআরসির নতুন সিদ্ধান্তের পর, মোবাইল অপারেটররা এখন থেকে স্মার্টফোনের সব সিম স্লট লক করতে পারবে। এর ফলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রাহক যদি সব বকেয়া পরিশোধ করেন, তবে গ্রাহক নিজের পছন্দের অপারেটরের সিম ব্যবহার করার জন্য লক খুলে দিতে হবে।

এছাড়া, বিটিআরসি বলেছে যে, মুঠোফোন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের নিজস্ব ডিভাইস লকিং অ্যাপসের মাধ্যমে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রি করতে পারবে। এতে সিম বা নেটওয়ার্ক লকিংয়ের পাশাপাশি ডিভাইস লকিংও একসঙ্গে বা আলাদাভাবে করা যাবে। সিম লকিংয়ের মাধ্যমে কেবল নির্দিষ্ট অপারেটরের সিম ব্যবহার করা যাবে, তবে ডিভাইস লকিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোনের ব্যবহারে আরো নির্দিষ্ট শর্ত থাকবে-যেমন টাকা শোধ না হওয়া পর্যন্ত ডিভাইসটি লক থাকবে এবং অন্য সিম ব্যবহার করা যাবে না।
বিটিআরসি বলেছে, মোবাইল অপারেটররা স্মার্টফোনের আমদানি, উৎপাদন ও সংযোজন করতে পারবে না, তবে তারা স্মার্টফোন উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। এর মাধ্যমে তারা বিটিআরসি অনুমোদিত স্মার্টফোন কিস্তিতে বিক্রি করতে পারবে। এছাড়া, অপারেটররা বিভিন্ন প্যাকেজ ও বান্ডেল অফার দেওয়ার সুযোগ পাবে, তবে তাদেরকে দেশের আর্থিক আইন, ব্যাংকিং বিধিমালা এবং ভোক্তা সুরক্ষা নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
এ বিষয়ে প্রথমে বাংলালিংক আপত্তি জানিয়েছিল, কারণ তাদের মতে, সব সিম লক করার ফলে বড় অপারেটররা ভর্তুকি দিয়ে ছোট অপারেটরদের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে ফেলবে। তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলালিংক তাদের আপত্তি তুলে নেয় এবং জানায়, তারা নিজেদের প্রস্তুতির জন্য সময় চায়। তারা আগামী জানুয়ারিতে এই নিয়ম কার্যকর করার জন্য বিটিআরসির কাছে অনুরোধ জানায়।
বিটিআরসি গত এপ্রিলে ডিভাইস লকিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোন বিক্রি শুরু করার অনুমতি দেয়। এতে স্মার্টফোন বিক্রি ২৮ শতাংশ বেড়ে গেছে, যা পামপের এবং স্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে সম্ভব হয়েছে।