প্রতিনিধি 2 November 2025 , 8:44:49 প্রিন্ট সংস্করণ

পেনাল্টি শট নিয়েও গোল করতে পারলেন না ভিনিসিউস জুনিয়র। তবে, সতীর্থদের দারুণ নৈপুণ্যের রাতে তার ওই ব্যর্থতা একদমই বড় হয়ে উঠল না। কিলিয়ান এমবাপে, জুড বেলিংহ্যামদের গোলে ভালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাবেউয়ে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে জাবি আলোন্সোর দল। এমবাপের জোড়া গোলের পর একটি করে চমৎকার গোল করেন বেলিংহ্যাম ও আলভারো কারেরাস।
রিয়ালের দাপুটে ফুটবলের সামনে কোনোরকম সুযোগই পায়নি ভেলেন্সিয়া। প্রায় ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২১টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে আলোন্সোর দল। ভালেন্সিয়ার চার শটের একটিই কেবল লক্ষ্যে ছিল। ১১ ম্যাচে ১০ জয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো রেয়ালের।
দিনের আরেক ম্যাচে, রায়ো ভাইয়েকানোকে ৪-০ গোলে গুঁড়িয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠেছে ভিয়ারেয়াল, ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৩। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা ২২ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করে ১৯তম মিনিটে গোলও পেয়ে যায় রেয়াল।
ভালেন্সিয়ার ডি-বক্সে তাদের ডিফেন্ডার সেসার তারেগার হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় রেয়াল। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন গত সপ্তাহে বার্সেলোনার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হওয়া এমবাপে। লা লিগায় টানা আট ম্যাচে জালের দেখা পেলেন ফরাসি তারকা।
৩১তম মিনিটে দারুণ গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপে। বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে আর্দা গিলেরের বাড়ানো ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে ভলিতে বল জালে জড়ান বিশ্বকাপ জয়ী তারকা।
২০২৪-২৫ মৌসুমের ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জয়ী এবারও লিগের গোলদাতার তালিকায় আছেন শীর্ষে, আসরে ১১ ম্যাচে তার গোল হলো ১৩টি।

৪২তম মিনিটে আলভারো কারেরাস ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে আবার পেনাল্টি পায় রেয়াল। এবার স্পট কিক নেন ভিনিসিউস, কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।
দুই মিনিট পরেই অবশ্য দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ান বেলিংহ্যাম। ফেদেরিকো ভালভের্দের পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে একজনের চ্যালেঞ্জ সামলে, জোরাল শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল ঠিকানায় পাঠান ইংলিশ মিডফিল্ডার।
চোট কাটিয়ে ফেরার পর থেকে ধীরে ধীরে নিজের সেরা রূপে ফিরছেন বেলিংহ্যাম। এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে জালের দেখাও পেলেন তিনি।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৩ শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখতে পারা রেয়ালের আক্রমণের ধার বিরতির পর কমে আসে। ৬২তম মিনিটে ১৪তম শট নিতে পারে তারা; এমবাপের জোরাল শটটি অবশ্য দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন গোলরক্ষক।
৭৯তম মিনিটে একইসঙ্গে ভিনিসিউস ও এমবাপেকে উঠিয়ে রদ্রিগো ও এন্দ্রিককে নামান কোচ।
বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচেও দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিউসকে তুলে নেন আলোন্সো এবং কোচের সিদ্ধান্তে বাজে প্রতিক্রিয়া দেখান ভিনিসিউস, এবার অবশ্য তেমন কিছু করেননি। অন্যদিকে, আরেক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এন্দ্রিক চলতি মৌসুমে প্রথম মাঠে নামার সুযোগ পেলেন।
খেলোয়াড় পরিবর্তনের পর খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে দর্শনীয় গোলটি করেন কারেরাস। রদ্রিগোর প্রচেষ্টা রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর, বল পেয়ে আচমকা দুর্দান্ত শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ লেফট-ব্যাক।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ব্যবধান কমানোর দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে ভালেন্সিয়া। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি; জাভি গেরার শট দূরের পোস্টে বাধা পায়। টানা জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ, লিভারপুলের মাঠে।