প্রতিনিধি 1 November 2025 , 11:22:00 প্রিন্ট সংস্করণ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটি সফলভাবে নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডো ‘পসাইডন’-এর পরীক্ষা চালিয়েছে। মস্কোর একটি হাসপাতালে আহত সৈন্যদের দেখতে গিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
পুতিন বলেন, ‘এর মতো অস্ত্র বিশ্বের আর কোথাও নেই।’ গ্রিক পুরাণের সমুদ্রদেবতার নামে নামকরণ করা এই টর্পেডো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা না গেলেও সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করে উপকূলীয় অঞ্চল ধ্বংস করতে সক্ষম।
২০১৮ সালে প্রথমবার পসাইডনের কথা প্রকাশ্যে আসে। রুশ গণমাধ্যমের দাবি, এটি ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে এবং এর গতিপথ বদলানো প্রায় অসম্ভব।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর রাশিয়া ‘বুরেভেস্তনিক’ নামের এক নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব ঘোষণার পেছনে সামরিকের চেয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই বেশি। রাশিয়া-বিশেষজ্ঞ মার্ক গ্যালিওটি বিবিসিকে বলেন, “এগুলো পৃথিবী ধ্বংসকারী ‘আর্মাগেডন অস্ত্র’, যা কেবল প্রতিশোধে ব্যবহারের জন্যই তৈরি।”
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ স্থবির হয়ে পড়ায় এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় চাপে পড়ে পুতিন এখন শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে দৃষ্টি ফেরাতে চাইছেন।
এদিকে, পুতিনের ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনাবাহিনীকে পারমাণবিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্রেমলিন অবশ্য দাবি করেছে, রাশিয়ার পরীক্ষাগুলো “পারমাণবিক নয়”, বরং ডেলিভারি সিস্টেম যাচাই ছিল।
ইউরোপজুড়ে পুতিনের এ হুমকিতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের সাড়ে তিন বছর পর রুশ বাহিনীর বড় কোনো সাফল্য না থাকলেও মস্কো আবারও সামরিক শক্তি দেখানোর পথ বেছে নিয়েছে।