প্রতিনিধি 22 October 2025 , 8:22:13 প্রিন্ট সংস্করণ

‘জুলাই সনদের যে আদেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন। এটার অধিকার প্রেসিডেন্ট চুপ্পুর নাই। এ ক্ষেত্রে আমরা একটি সাংবিধানিক আদেশের ভিত্তির কথা বলছি। তাই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এ সম্পর্কে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সেটিতে স্বাক্ষর করবে’ বলে জানিয়েছেন, দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেল ৫টার দিকে নাহিদসহ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছেন এনসিপি’র শীর্ষস্থানীয় ৪ নেতা। এর মধ্যে রয়েছেন-দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখেছি-আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং অভিযোগের কারণে সেনাবাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে আদালতে আনা হয়েছে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানিয়েছি, সরকার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রতি আমরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি যে, ন্যায়বিচারের একটি ধাপ আমরা আগাচ্ছি’।

‘কিন্তু এর পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইবুনালের পাশাপাশি সারাদেশে যে মামলা হয়েছে, জুলাই শহীদ পরিবারদের পক্ষ থেকে আহতদের পক্ষ থেকে, সেই মামলাগুলোর বিষয়ে সরকারের কি পদক্ষেপ? আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, পত্রিকায় যে জামিনে আসামিরা ছাড়া পাচ্ছেন এবং তারা শহীদ পরিবার এবং আহতদেরকে হুমকি দিচ্ছে, ফলে সেই জায়গায় শহীদ পরিবার আহতদের নিরাপত্তা এবং বিচারের একটা রোডম্যাপ আমরা চেয়েছি’।
‘এ বিষয়ে নির্বাচনের আগে যাতে বিচারের একটা রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়। যে প্রায় ৮ শতাধিক মামলা হয়েছে। এই মামলাগুলোর এখন অবস্থা কি এবং সেগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে? কতদিনের মধ্যে সেটা কোন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে? দ্বিতীয়ত, যেহেতু জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি সেখানে অংশগ্রহণ করে নাই। ফলে আমরা আমাদের অবস্থান সরকারের কাছেও তুলে ধরেছি। ঐক্যমত কমিশনের কাছেও আমরা তুলে ধরেছি’।
এনসিপি’র আহ্বায়ক বলেন, ‘সরকারের কাছে আমরা আমাদের এ দাবিগুলো জানিয়েছি এবং এই দাবিগুলো যাতে বিবেচনা করা হয় এবং সরকার যাতে সেই পথে যৌক্তিকভাবে এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আগায় সে বিষয়ে আমরা জোর দাবি জানাই। আজকের বৈঠকে আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে মনে হচ্ছে যে এটা নিরপেক্ষ হচ্ছে না। কিছু দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এবং কোন দলের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ তারা করছে’।
নাহিদ আরও বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশন যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে না পারে এর দায় সরকারের উপরও আসবে। ফলে আমরা সরকারকে সেই বিষয়টি অবহিত করেছি এবং আমরা মনে করি যে নির্বাচন কমিশন এই মুহূর্তে পুনর্গঠন হওয়া প্রয়োজন। বৈঠকে আমরা জনপ্রশাসন এবং উপদেষ্টা পরিষদ বিষয়ে কিছু বক্তব্য দিয়েছি’।