রাজনীতি

আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে মিত্রদের আলোচনা শুরু

  প্রতিনিধি 11 October 2025 , 8:10:20 প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পতাকা ও সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
Main Banner Ads For Captains TV

আবদুর রহমান খান: জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, মিত্রদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে অনআনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। জানা গেছে, যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেয়া সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যে দলটির কাছে ২১৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা জমা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার কৌশলগতভাবে সর্বোচ্চ ৪০টি আসন তারা মিত্রদের ছেড়ে দিতে পারে। তবে মিত্রদের কয়টি আসনে ছাড় দেবে বিএনপি তা চলতি মাসেই জানা যাবে। যাদের ছাড় দেবে তাদের বিএনপির হাইকমান্ড থেকে ‘সবুজ সংকেত’ দেয়া হবে। পরবর্তী সময়ে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর প্রার্থী মনোনয়নের যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

এ দিকে, মিত্ররা অনেক আসন চাইলেও বিএনপি তা দিতে পারবে না। কারণ এবার বিএনপির প্রার্থী অনেক। মিত্ররা জাতীয়তাবাদী দলের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত আসন চাইলে নাও পেতে পারেন। এ ভাগাভাগি নিয়ে মিত্রদের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ হওয়ারও আশঙ্কা দেখছেন কেউ কেউ।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গণতন্ত্র মঞ্চ ১৩৮টি, ১২ দলীয় জোট ২১টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ৯টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ১৩টি, জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ৫টি, গণফোরাম ১৫টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ৬টি ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ১০টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা জমা দিয়েছে বিএনপির কাছে।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দল দাবি করেছে তারা সরাসরি লন্ডনে গিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে প্রার্থীদের নাম হস্তান্তর করেছে। আর বিএনপ-দলীয় সূত্র বলছে, মিত্রদের আসন ছাড় নিয়ে এখন চলছে দরকষাকষি ও তীব্র আলোচনা। অপরদিকে, পাঁচটি জরিপ ও নিজস্ব উইং থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘যে সব দল অতীতে রাজপথে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, আমরা তাদের সঙ্গে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কাজে একসঙ্গে থাকতে চাই। সবার মতামত নিয়েই রাষ্ট্র গঠন করতে চাই’।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মিত্রদের কত আসন ছাড়বে, সেটি দলীয় ফোরামে আলোচনার বিষয়। এমন আসনেই শরিকদের প্রার্থী দেয়া হবে, যেগুলোতে জয়লাভের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে।’

বিএনপির একাধিক টিম এখন শরিক দলগুলোর প্রার্থীদের নিজ আসনে জনপ্রিয়তা যাচাই করছে। আগের নির্বাচনে শরিকদের দেয়া আসনগুলোর অনেকগুলো এবারও ছাড় দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যেসব মিত্র এবার মনোনয়ন পাবেন না, তাদের সংসদের উচ্চকক্ষে (উপরের কক্ষ) মূল্যায়নের উদ্যোগ নিতে পারে বিএনপি।

বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, নির্বাচনে মিত্রদের ভূমিকা তারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। তবে আসন ছাড়ের ক্ষেত্রে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাকেই প্রধান মানদণ্ড হিসেবে ধরা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের ৫৮ আসনে ছাড় দিয়েছিল দলটি। এর মধ্যে ২২টি আসন গিয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে। এবার জামায়াতের সঙ্গে কোনো প্রকার জোট বা সমঝোতায় যাওয়ার সম্ভাবনা একবারেই কম থাকায়, নতুন শরিকদের মধ্য থেকেই আসন ছাড়ের হিসাব কষছে বিএনপি।

আরও খবর

Sponsered content

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সংবাদ
12:56 PM ডাকসু নেতাদের আচরণ নিয়ে ছাত্রদলের নাছিরের স্ট্যাটাস 12:30 PM পাকিস্তানে ‘নিষিদ্ধ’ সালমান খান! 11:57 AM উত্তরা–মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক 11:46 AM ব্যাংক এশিয়াকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা 11:09 AM তামিমকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা 10:59 AM মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় নিহত কালামের দাফন সম্পন্ন 9:03 AM ভেনেজুয়েলার আরও কাছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ, বাড়ছে উত্তেজনা 8:52 AM গাজায় মৃত্যুফাঁদ, ধ্বংসস্তূপে লুকিয়ে হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা 8:46 AM বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ‘মন্থা’, বাতাসের গতিবেগ ৬০ কিমি 8:42 AM জামায়াতসহ ৮ দলের বিক্ষোভ কর্মসূচি আজ