প্রতিনিধি 3 October 2025 , 10:28:51 প্রিন্ট সংস্করণ

মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে বৈশ্বিক উদ্যোগ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’। সমুদ্রপথে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টিরও বেশি বেসামরিক জাহাজ, যাতে অংশ নিয়েছেন ৪৪ দেশের প্রায় ৫০০ মানুষ।
মহৎ এ উদ্যোগে বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দিয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুহি আক্তার। ইতিমধ্যে সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি জাহাজ ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে জিম্মি হলেও একটি জাহাজ গাজার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর যাত্রা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে ব্যাপক সাড়া।
মাহিরা ইসলাম লুবাবা লিখেছেন, “১৩টি জাহাজ আটকে রাখার পরও গাজার দিকে যাচ্ছে আরও ৪০টি জাহাজ। এটাই গাজার প্রতি ভালোবাসা। জীবন দিয়েও তাদের সহযোগিতা করা—এটাই ইসলামের শক্তি।”

মঈন মুরসালিন লিখেছেন, “যারা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা, মৌন-মলিন মুখে জোগালো ভাষা। ৫৫টিরও বেশি ছোট জাহাজে করে সাহায্য নিয়ে গাজার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা—সফল হোক।”
মানিক মুনতাছির লিখেছেন, “ধর্মের আমি ধারি না কো ধার! আগে তো মুক্তি পাক মানবাধিকার। সমুদ্রের ঢেউয়ে বিলীন হোক দখলদার ইসরায়েল। স্বাধীন দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাক প্যালেস্টাইন! জয়তু।”
ইয়িলদিরিম মারু একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “রুহি আক্তার নামের ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এই আপুও আছেন সবার সাথে।”
অনন্ত আরফাত লিখেছেন, “মিকেনো নামের জাহাজটা এখনো ইন্টারসেপ্ট হয়নি। ইজরায়েলি হানাদারদের এড়িয়ে গাজার জলসীমায় ঢুকে পড়ছে। আর হয়তো চার-পাঁচ নটিক্যাল মাইল বাকি। গাজার শিশুরা হয়তো দেখতে পাচ্ছে মিকেনোর ছাদে উড়ছে ফিলিস্তিনের পতাকা।”