প্রতিনিধি 28 September 2025 , 1:13:35 প্রিন্ট সংস্করণ

পাহাড়ি এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার জেরে কয়েকদিন ধরে অবরোধ, মিছিল ও সহিংসতার পর খাগড়াছড়ি জেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সদর উপজেলা পরিষদ এলাকা, মহাজনপাড়া, নারিকেলবাগান, চেঙ্গী স্কোয়ার ও শহীদ কাদের সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। স্বনির্ভর ও নারিকেলবাগান এলাকায় কয়েকটি দোকানেও হামলার ঘটনা ঘটে। সহিংসতায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিস্থিতি অবনতির পর খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে ৭ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও এপিবিএন মোতায়েন রয়েছে।

শনিবার রাতে বৌদ্ধবিহারে নাশকতার প্রস্তুতিকালে তিন পাহাড়ি যুবককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সহিংসতার কারণে সাজেক ভ্রমণে যাওয়া প্রায় দুই হাজার পর্যটক আটকা পড়েন। পরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা খাগড়াছড়ি হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় শয়ন শীল (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। অবরোধ চলাকালে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় আলুটিলা এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স এবং নারানখাইয়া এলাকায় একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়।
রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা আসলেও পরে তা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়। তবে কিছুক্ষণ পর আবারও নতুন করে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল গণমাধ্যমকে রিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।