প্রতিনিধি 19 September 2025 , 2:05:07 প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২০০২ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার আসামি হয়ে কারাবন্দী থেকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পাওয়ার পর মো. মুশফিক উদ্দীন টগরকে অস্ত্র কারবারে জড়িয়ে পড়েন। পরে র্যাব তাকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে।
র্যাব জানায়, সাজা খাটা অবস্থায় বিশেষ বিবেচনায় ২০২০ সালের ২০ আগস্ট তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পর তার বিরুদ্ধে মুগদা থানায় একটা মাদক মামলার তথ্য পাওয়া যায়। মুক্তির পর তিনি অস্ত্র কারবারে জড়িয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর আজিমপুর থেকে মুশফিক উদ্দীন টগরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩।
গ্রেপ্তারের সময় মুশফিকের কাছ থেকে ৩২ মি. মি. এর একটি রিভলবার, একটি ম্যাগাজিন, একটি কাঠের পিস্তলের গ্রীপ, ১৫৫ রাউন্ড (২২ রাইফেল), ১টি ৭.৬২ মি. মি. এর মিসফায়ার গুলি, ১টি শর্টগানের খালি কার্তুজ, ২টি মুখোশ ও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুশফিকের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তিনি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধ ভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরবর্তীতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন বলেন, সনি হত্যা মামলায় তিনি ২০০২ সালে ২৪ জুন গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট ততকালীন সরকারের বিশেষ বিবেচনায় কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। মূলত আমরা অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে তার পরিচয় পাই। তখন জানতে পারি তিনি বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
উদ্ধার হওয়া মুখোশের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে এসব মুখোশ ব্যবহার করতেন। এছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতেন কি না সেটা তদন্তে জানা যাবে।