প্রতিনিধি 14 September 2025 , 1:48:27 প্রিন্ট সংস্করণ

কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা চালাতে আশপাশের কোনো আরব দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করেনি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান। তবে লোহিত সাগর থেকে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে সৌদি আরবের ওপর দিয়ে দোহায় ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইসরাইলি বাহিনী।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত বরাত দিয়ে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
এতে বলা হয়, ইসরাইলি বিমানবাহিনী লোহিত সাগরে মোতায়েন করা যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে দোহায় অবস্থানরত হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, লোহিত সাগরের আকাশসীমায় মোতায়েন ইসরাইলি বিমানবাহিনীর (আইএএফ) আটটি এফ-১৫ এবং চারটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এ অভিযানে অংশ নেয়। তবে কোনো ইসরাইলি বিমান আশপাশের আরব দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের পাঠানো এক সাংবাদিক হামলার শিকার দোহার ভবনটি ঘুরে দেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভবনের মধ্যবর্তী তলা ও নিচতলার ডানদিকের অংশ প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
ক্ষেপণাস্ত্র মহাকাশে নিক্ষেপ?

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতার উপসাগরীয় উপদ্বীপের অপর প্রান্তে থাকায় ইসরাইল দোহায় আঘাত হানতে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান সৌদি আরবের আকাশসীমার ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র মহাকাশে পাঠায় এবং তা দোহায় গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
মহাকাশ-ভিত্তিক মার্কিন সেন্সর মিসাইল উৎক্ষেপণের তাপ ও গতিপথ শনাক্ত করে নিশ্চিত হয় যে এর লক্ষ্যবস্তু ছিল দোহা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সৌদির আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এড়াতেই ইসরাইল এই পদ্ধতি ব্যবহার করে।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গাজায় মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সময় কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের একটি অফিস ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা
সৌদি আরব দোহার এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তবে ইসরাইল সৌদি আকাশসীমা ব্যবহার করেছে—এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ইসরাইলের অপরাধমূলক আগ্রাসন অব্যাহত রাখা আন্তর্জাতিক আইন ও সব আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের লগ্ন লঙ্ঘন।’